বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি ঠিকই তবে ইতিমধ্যেই আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া সকলে। অন্যদিকে, একেবারেই বিপরীত চিত্র ধরা পড়ল নদিয়ায় (Nadia)। নদিয়া জেলার তেহট্ট থানার শ্যামনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল (TMC) ছেড়ে সিপিএমে (CPIM) নাম লেখালেন প্রায় ৩০০ জন।
রবিবার শ্যামনগরের পঞ্চায়েত সদস্যা নুরজাহান বিবি, তার স্বামী হাবিব শেখ-সহ প্রায় ৩০০ জন ভোটার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দেন বলে সিপিএম সূত্রে খবর। তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস। জানা গিয়েছে শাসকদল ছেড়ে মোট ৬০টি পরিবার এদিন সিপিএমে যোগদান করেন।
এদিন নতুন দলে যোগদান করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পঞ্চায়েত সদস্যা নুরজাহান বিবি। তার কথায়, “তৃণমূল এখন দুর্নীতিতে ভরা। এই দলের হয়ে ভোট চাইতে যেতে পারব না। আর বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়ারও ক্ষমতা নেই। সিপিআইএম একমাত্র বিকল্প। তারাই পারবে লড়াই করতে। তাই এই দলে যোগ দিলাম।”
একজোটে এতজনের যোগদান নিয়ে উচ্ছাসিত স্থানীয় বাম শিবির। এই প্রসঙ্গে সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, “মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বুঝতে পেরেছেন। সদস্যরাও বুঝঝেন মানুষের জন্য কাজ করে একমাত্র সিপিআইএম। আর বিজেপি তৃণমূলের সেটিং আছে এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আগামী পঞ্চায়েতের আগে আরও মানুষ আমাদের দিকে ফিরবে। আমরাই সারা বছর মানুষের পাশে থাকি।”
অন্যদিকে, নুরজাহানের স্বামীর বক্তব্য, “তৃণমূল পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা তাই সিপিআইএমে এলাম। আমাদের এখন যিনি বিধায়ক সেই তাপস সাহার নামে চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ। পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য তো সপরিবারে জেলে। অন্যদিকে, স্ত্রী যে কোথাও গিয়ে বলবেন পঞ্চায়েত সদস্য, দলের নেতারা সেই মুখ রাখেননি। কোথাও গেলেই ‘চোর পার্টির সদস্য’ শুনতে হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।” যদিও গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায় বলেন, “এসব ঘটনা একদমই গুরুত্বহীন। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখছি।”