বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাশিয়ার থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমদানি করার কথা রয়েছে ভারতের। অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানও (Pakistan) একই চেষ্টা করছে। রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কিনে কিছুটা স্বস্তি পেতে চাইছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। পাকিস্তান বরাবর ভারত বিরোধী মনোভাব পোষণ করলেও এ বার বেসুরো শোনাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করতে শোনা গেল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধানকে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইমরান। সেখানে ভারতের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ভারতের মতো ইসলামাবাদও রাশিয়ার থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল নিতে চেয়েছিল। তাঁর আমলেই এটি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার আগেই ইমরানের সরকার পড়ে যায়। অন্যদিকে ভারত আমেরিকার চাপ সহ্য করেও রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কেনার পথে হাঁটে।
aSia
কারণ এতে সাধারণ ভারতীয়দের সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁদের সরকার একটি স্বাধীন বিদেশনীতির মাধ্যমে এটি করতে চেয়েছিল। ইমরান বলেন, তাঁর দেশ রাশিয়ার থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনতে পারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত থাকা সত্ত্বেও ভারতকে এই তেল সরবরাহ করেছিল ইউক্রেন। একইসঙ্গে গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগার দিন ইমরান খান মস্কো সফরে ছিলেন।
মস্কো গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। জানিয়ে রাখি, গত ২৩ বছরে ইমরান খান প্রথম পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী যিনি মস্কো গিয়েছেন। নওয়াজ শরিফ বাদে আর কোনও রাষ্ট্রনেতার কাছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নেই। এমন দাবি করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, “আমায় এমন একটি দেশ দেখান যার প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী ভারতকেই দেখুন। দেশের বাইরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কত সম্পত্তি রয়েছে?” গত বছর মে মাসে মোদীর রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলেন ইমরান খান। প্রসঙ্গত, তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি তেলেরও সঙ্কট রয়েছে পাকিস্তানে। দেশের একাধিক পেট্রোল পাম্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে অপর্যাপ্ত তেলের অভাবে। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে খাদ্যসঙ্কটও। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ায় আমদানিও বন্ধ। এদিকে মুদ্রাস্ফফীতির কারণে জিনিসের দামও আকাশছোঁয়া।