বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেকদিন পর আবারো বাংলা ছবিতে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। তরুণ প্রজন্মের অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘লাভ ম্যারেজ’ করতে চলেছেন তিনি। দীর্ঘদিন বিরতিতে থাকার পর আবারো ক্যামেরার সামনে উত্তম কুমারের সহ অভিনেতা। বর্তমানের সিনে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নিজস্ব মতামতও দিলেন রঞ্জিত মল্লিক।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রবীণ অভিনেতা বলেন, একটা লম্বা বিরতির পর পরিচালক তরুণ মজুমদারের অনুরোধে আবারো অভিনয় শুরু করেন তিনি। তবে ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচনে কিছু জিনিস মাথায় রাখেন তিনি। হয় এমন ছবি করেন যেখানে সমাজের জন্য কোনো বার্তা দিতে পারেন, আর নয়তো ভরপুর বিনোদন, হাস্যরসযুক্ত ছবি করেন।
বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। আবার এখন তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে কাজ করছেন। পরপর প্রজন্মের তরুণ তুর্কিদের সঙ্গে কাজ করতেও কোনো সমস্যা নেই সুপারস্টারের।
তবে এই সুপারস্টার তকমাটায় আপত্তি আছে রঞ্জিত মল্লিকের। মাটিতে পা রেখে চলার শিক্ষা পেয়েছেন তিনি বরাবর। সব স্তরের মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা, তাদের পাশে দাঁড়ানো পছন্দ রঞ্জিত মল্লিকের। এখনো ‘পটলার দোকানে’র ১৫ টাকার কফিতেই তেষ্টা মেটে তাঁর। মেয়ে কোয়েলের পাল্লায় পড়েই শুধু দামী কফি খেতে হয় বলে রসিকতা করেন অভিনেতা।
বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির সেকাল আর একালের মধ্যে পার্থক্য কতটা? বক্স অফিসেই বা কতটা ফারাক হয়েছে? নিজের সুপারহিট ছবি ‘শত্রু’র উদাহরণ দিয়ে রঞ্জিত মল্লিক বলেন, আগে একটা ছবি ২৫ সপ্তাহ ধরে চলত। আর এখন মাত্র ১০ দিন চললেই নাকি সেটা অনেক বড় ব্যাপার। এর জন্য অভিনেতা দায়ী করেন ওটিটির বাড়বাড়ন্ত এবং করোনাকে।
তাঁর কথায়, টিভি এবং ওটিটিতে সিনেমা দেখে দেখে এখন আর সিনেমাহলে যেতেই চান না দর্শকরা। কিন্তু টিভিতে সিনেমা দেখা আর সিনেমাহলে গিয়ে দেখার মধ্যে তো ফারাক রয়েছে। তিনি নিজে যেমন মৃণাল সেনের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তেমনি অভিনয় করেছেন মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতেও। রঞ্জিত মল্লিক বলেন, দুই সিনেমার দুই ধরণের দর্শক আর তিনি সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ।
ভিন্ন ধারার ছবি হোক বা বাণিজ্যিক ছবি তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু ছবির গল্প ভাল হওয়া চাই, মত রঞ্জিত মল্লিকের। এখন দুই প্রজন্মের অভিনেতারা একসঙ্গে মিলে কাজ করছেন। দর্শক মহলে যে ভাল প্রভাব পড়ছে তা প্রমাণ করে দিয়েছে দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তীর প্রজাপতি।
তবে রঞ্জিত মল্লিকের কথায়, অঙ্কুশ বা দেবের তাঁদের দরকার নেই। তাঁদের ছাড়াও তো ছবি হিট হয়েছে। ভাল গল্প আর ভাল পরিচালক দরকার। নয়তো মিঠুন চক্রবর্তী, রঞ্জিত মল্লিক, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই কিছু করতে পারবেন না।