বাংলাহান্ট ডেস্ক: মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তাদের। গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টের জেরে বিপুল সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে এই গোষ্ঠীর। এই রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের লগ্নিকারী সংস্থাগুলির দিকেও আঙুল ওঠে। তারই মধ্যে একটি হল কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থা LIC। তবে এত কিছুর মধ্যেও আবারও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল এই সংস্থা।
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপিটাল ১০০ বিলিয়ন ডলারের নীচে চলে যায়। পাশাপাশি, মালিক গৌতম আদানিরও মোট সম্পত্তি ১২৭ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে হয় মাত্র ৩৭ বিলিয়ন ডলার। রাতারাতি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নিজের স্থান হারান এই শিল্পপতি। তবে এখন কিছুটা ধাতস্থ হয়েছে আদানি গ্রুপ। আবারও আগের মূল্যে ফিরছে তাদের শেয়ার।
এই অবস্থায় আদানি গ্রুপে বিনিয়োগ করা নিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়েছিল এলআইসি। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয়, আদানিতেই ভরসা রাখছে সংস্থা। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে আদানি গ্রুপে তাদের অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থা। তারা আদানি গ্রুপের আরও বেশি শেয়ার কিনে নেয়। মার্চের ত্রৈমাসিকে আদানি এন্টারপ্রাইজের ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০টি শেয়ার কিনেছে এলআইসি।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম অর্ধেকেরও নীচে নেমে গিয়েছিল। ঠিক এই সময়েই এলআইসি সস্তায় বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে নেয়। এই সিদ্ধান্তের জেরে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থাকে। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করেনি তারা। এলআইসির এই বিনিয়োগের পর আদানি গ্রুপে তাদের অংশীদারিত্ব বেড়ে হয় ৪.২৬ শতাংশ। আদানি এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও আরও তিনটি শেয়ারে লগ্নি বাড়িয়েছে এলআইসি।
এগুলি হল আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন গ্যাস এবং আদানি পোর্ট। তবে আদানির সিমেন্ট সংস্থা এসিসি এবং আম্বুজা সিমেন্টে নিজেদের বিনিয়োগ কমিয়েছে এলআইসি। সূত্রের খবর, এই লগ্নির পর আদানি গ্রুপে এলআইসির অংশীদারিত্ব বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে আদানি এন্টারপ্রাইজের ৪.২৬ শতাংশের অংশীদার তারা। আদানি ট্রান্সমিশনে তাদের ভাগ বেড়ে ৩.৬৮ শতাংশ হয়েছে। আদানি গ্রিনে অংশীদারিত্ব বেড়ে হয়েছে ১.৩৫ শতাংশ। আদানি টোটালে তাদের ৬.০২ শতাংশ ভাগ রয়েছে।