বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৯০ এর দশকে যে সমস্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা রয়েছেন সেই তালিকায় নিজের জায়গা পাকাপাকি করে নিয়েছেন কাজল (Kajol)। আজও বলিউড (Bollywood) দুনিয়ায় দাপট চলছে অজয় দেবগনের (Ajay Devgn) পত্নীর। যদিও ক্যারিয়ারের শুরুটা কিন্তু মোটেই ভালো ছিল না এই অভিনেত্রীর। নিত্যদিন তাঁকে শুনতে হতো নানান অপমানজনক কথাবার্তা।
সালটা ১৯৯২। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই অভিনয় জগতে হবে খড়ি হয়েছিল এই স্টারকিডের। তাঁকে প্রথম দেখা গেছে ‘বেখুদি’ ছবিতে। যদিও এই ছবি সেভাবে সাফল্য পায়নি বক্স অফিসে। তবে ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন কাজল। এরপর বহু হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে ক্যারিয়ারের দিকে যতই সাফল্য আসুক না কেন নিজের গায়ের রঙের কারণে বহু সংগ্রামের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। শুনতে হয়েছে অপমানজনক কথাবার্তা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন কাজল। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘একটা সময় সকলেই আমাকে ‘মোটা’ এবং ‘কালো’ বলে ডাকত। এমনকি আমি সব সময় চশমা পড়ে থাকতাম বলেও আমাকে শুনতে হতো বহু কথা। যদিও এসব নিয়ে খুব একটা বেশি চিন্তিত ছিলাম না আমি। মনে মনে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলতাম আমি ভীষণ কুল, স্মার্ট। অন্তত যারা আমাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন তাদের থেকে অন্তত অনেকটাই ভালো’।
যদিও নিজের গায়ের রংকে ভালবাসতে অনেকটা সময় লেগেছিল অভিনেত্রীর। সে কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন কাজল। তাঁর কথায়, ‘আমার যখন ৩২ কিংবা ৩৩ বছর বয়স তখন আমি আয়নার সামনে নিজেকে দাঁড়িয়ে বলতাম আমি অনেকটাই সুন্দর দেখতে। এরপর থেকে আমি আসতে আসতে নিজেকে বিশ্বাস করতে শিখি। আসলে সব থেকে বড় কথা হল আগে নিজেকে বিশ্বাস করা উচিত। কারণ তুমি যতক্ষণ না নিজেকে বিশ্বাস করতে পারবে ততক্ষণ তুমি যা করবে সেটাই দেখনদারি হবে’।
তবে বলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায়, গায়ের রং ফর্সা করার জন্য নাকি সার্জারি করেছেন কাজল। যদিও এ কথা কিছুতেই মেনে নিতে রাজি নন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘একটা সময় আমি প্রচন্ড রোদে ঘোরাঘুরি করতাম। আর সে কারণেই আমার গোটা শরীরে ট্যান পড়ে গেছিল। তবে বর্তমানে আমি নিজেকে সূর্য রশ্মি থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে রেখেছি। আর সে কারণেই গায়ের রং হয়েছে ফর্সা। এর জন্য আমি কোনওরকম সার্জারি করিনি’।