বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে বাঙালিরা জাতীয় স্তরের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন, জাঁকিয়ে বসে রাজত্ব করেছেন। আর তাদের ক্ষেত্রে অন্যতম রোল মডেল হয়ে থেকেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে তিনি যেভাবে বলিউড তথা ভারতীয় সিনেমা জগতের সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে তার থেকেও বড় ব্যাপার, মিঠুন যেভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গাটা বানিয়েছিলেন, সেই পুরো সফরটা। বাস্তবিকই চূড়ান্ত স্ট্রাগল করে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করেছিলেন তিনি। নায়ক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন মিঠুন। প্রথম ছবিতেই ছিনিয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। তবুও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যোগ্য সম্মান দেয়নি তাঁকে।
মিঠুনের অভিনয় নয়, বলিউড তাঁর বিচার করেছিল রূপ, গায়ের রঙ দেখে। শ্যামবর্ণ হওয়ায় তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি নাকি নায়কোচিত নন। দিনের পর দিন অপমান সহ্য করেছেন মিঠুন। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকজন ছিলেন যারা তাঁর পাশে থেকেছেন, তাঁকে সাহায্য করেছেন। এই তালিকায় ছিলেন শাবানা আজমির বাবা মা কাইফি আজমি এবং শৌকত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাবানা বলেন, তাঁর মা বাবা কীভাবে মিঠুনকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে। নিজের গায়ের কালো রঙের জন্য হীনম্মন্যতায় ভুগতেন তিনি। উপরন্তু তাঁর দাঁতগুলোও তেমন সুন্দর ছিল না বলেই বারবার অভিনেতাকে কথা শোনাতেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। এই পরিস্থিতি থেকে মিঠুনকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন শাবানা আজমির মা বাবা।
প্রবীণ অভিনেত্রী জানান, তাঁর মা বাবার বাড়ি জানকী কুটিরে অনেক মানুষের ঠাঁই হত। সে সময়ে যারা বলিউডে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করতেন তাদের পাশে দাঁড়াতেন শৌকত এবং কাইফি। মুম্বইতে যাদের মাথার উপরে থাকার জায়গা থাকত না তাদের নিজের বাড়িতে জায়গা দিতেন তাঁরা।
মিঠুনের ক্ষেত্রেও অনেকটা সাহায্য করেছিলেন শৌকত এবং কাইফি। শাবানা বলেন, নিজের দাঁতের গঠনের জন্য মুখ সবসময় বন্ধ করে হাসতেন মিঠুন। গায়ের কালো রঙ নিয়েও গুটিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু তাঁর মা শৌকত যেভাবে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন তাতে তাঁর এই সংকুচিত ভাবটা কেটে গিয়েছিল। আর ডিস্কো ডান্সার ছবিটি মিঠুনের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।