বস্তায় ভরতি লাখ লাখ মুদ্রা! এবার অভিষেকের গড় থেকে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, ঘনাচ্ছে রহস্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফেরিঘাট থেকে উদ্ধার ১২৫ বস্তা কয়েন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) নৈনান ঘাটে রবিবার রাতে কয়েন (Coin Mystery) গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে তীব্র শোরগোল পরে গিয়েছে। এত এত খুচরো টাকার উৎস কী সেই নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।

রাতেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। কয়েন ভরতি বস্তার খবর পেয়ে নৈনান ঘাটে পৌঁছায় পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ এক বা দুই বস্তা নয় সেখানে মজুত ছিল ১২৫ বস্তা কয়েন। দেখা যায় যে ব্যক্তি কয়েন নিয়ে এসেছিলেন এবং যিনি কয়েন ভরতি বস্তাগুলি নিতে এসেছিলেন, দুজনাই তখন উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। তাদের আটক করে রাখেন স্থানীয়রা। এরপরই শুরু হয় পুলিশি তদন্ত।

দেখা যায় সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ টাকার কয়েন রয়েছে সেখানে। এত কয়েন কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই ফাঁস হয় আসল রহস্য। পুলিশ জানতে পারে, নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পেতেন এক ঠিকাদার। তার মধ্যে ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা এই কয়েনের পাহাড় দিয়ে মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছিল।

coin

জানা যায়, নৈনান ঘাটে এক ব্যক্তির লিজ রয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই ফেরিঘাট লিজে দেওয়া হয়েছে। ফেরির টিকিট বাবদ জমা হওয়া কয়েনই পাওনা মেটানোর জন্য ইটভাটার মালিককে দেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। কয়েন ভর্তি বস্তা নিয়ে নৈনান ফেরিঘাট থেকে শিবগঞ্জে যেতে চেয়েছিলেন ইটভাটার মালিক। তবে মাঝি ও সহযাত্রীরা আপত্তি জানানোয় শুরু হয় ঝামেলা।

পরে পুলিশি নিরাপত্তাতেই সেই কয়েনের বস্তা নিয়ে ফেরি পারাপার করা হয়। জানা গিয়েছে, হাওড়ার শ্যামপুরের এক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিংহ চার লাখ টাকা পেতেন রাধাকৃষ্ণ মান্না নামের এক ব্যক্তির কাছে। তবে এত ভারী বস্তা দেখায় সন্দেহ হয় যাত্রীদের। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সব দেখে শুনে বিশ্বজিৎকে নিরাপদে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেয়। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর