বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আর নেই কোনও সন্দেহ। আগামী মরশুমেই ফ্রান্সের বিখ্যাত ক্লাব পিএসজি (PSG) ছাড়তে চলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিও মেসি (Lionel Messi)। বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকার সাথে ক্লাবের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হয়ে চলেছে। লিওর বাবা জর্জে মেসি আগেই এই নিয়ে কথা বলেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে। এবার শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে গোটা ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষা।
কিন্তু কেন আচমকাই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গেল? আসলে এই সমস্যাটি আরম্ভ হয়েছিল গত রবিবার থেকে। মেসি, এমবাপ্পে সমৃদ্ধ পিএসজি ফ্রেঞ্চ লিগের ১০ নম্বরে থাকা ক্লাব লরিয়েন্টের কাছে বিশ্রীভাবে ৩-১ ফলে হারে। ওই ম্যাচে এমবাপ্পে গোল করলেও মেসি ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। নিজের স্বভাব সেদ্ধ ভঙ্গিতে কয়েকটি ড্রবল করলেও গোলে একটিও শট নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
এই হারের পর পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফার গালতিয়ের পরের দিন দলের যে অনুশীলনে ছুটি ছিল, তা বাতিল করেন। অসন্তুষ্ট পিএসজি কোচ দলের প্রত্যেক ফুটবলারকে নিয়ম মেনে অনুশীলন করতে আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মেসি সেই আদেশ সত্বেও নিজের একটি চুক্তি অনুযায়ী প্রমোশনাল কাজ করতে সৌদি আরবে চলে যান।
মেসির এই সফরটি অনেকদিন আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের পর এই শহরটি পিছিয়ে দিয়েছিলেন মেসি নিজেই। সৌদি আরবের পর্যটনের প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি বিশাল বড় টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। তাহলে মেসির সফল নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতো না। কিন্তু কোচের নির্দেশের পর মেসি যদি ওই সফল পিছিয়ে দিতেন তাহলে তার এবং সেই চুক্তির মাঝখানে জটিলতা আসতে পারতো এবং সেই চুক্তিটি বাতিলও হতে পারতো।
অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব শহরের কারণে পিএসজি মেসিকে ২ সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করে। এই সময় তিনি দলের হয়ে অনুশীলন করতে বা ম্যাচ খেলতে পারবেন না এবং তাকে এই সময়ের বেতনও দেওয়া হবে না বলে জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এরপরেই ইটালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো নিশ্চিত করে দেন যে মেসি পরের মরসুমে নিশ্চিত ভাবে ক্লাব ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু মেসি পরের মরশুমে কোন ক্লাবে যোগ দেবেন সেই নিয়ে এখনো কোনও আপডেট আসেনি। বার্সেলোনার হয়ে তার আবার খেলার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন বার্সেলোনার ডিরেক্টর মাতিও অ্যালেমনি। সৌদি আরবের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আল হিলাল টাকার থলি নিয়ে মেসিকে সই করানোর জন্য প্রস্তুত থাকলেও মেসি সেখানে যাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। উত্তর পাওয়ার জন্য আরও দুটি মাস অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।