বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে ৬ মাসের মধ্যেই বাংলার সিস্টেম বদলে দেবেন, কলকাতায় এসে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) মহাতারকা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। রাজ্যে শিক্ষা থেকে শিল্প সব ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রেই ঢুকে গিয়েছে দুর্নীতি। এই সবকিছু বদলে দিতে পারেন তিনি, দাবি মিঠুনের।
সম্প্রতি কলকাতায় এসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মহাগুরু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মিঠুন বলেন, গোটা রাজ্যটাই দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছুই নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই গণ আন্দোলন শুরু হয়। তবে তার জন্য গোটা রাজ্যের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মিঠুন।
এরপরেই তিনি বলেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে ৬ মাসের মধ্যেই গোটা সিস্টেম বদলে দেবেন তিনি। এই পশ্চিমবঙ্গ আর এমন থাকবে না। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা দুর্নীতিতে যতই ধরপাকড় হোক না কেন গোটা ব্যবস্থাতেই দুর্নীতি ভরে গিয়েছে। এটা বদলানো দরকার।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে যখন বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে তখনই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। অনেকেই ভেবেছিলেন তিনিই হয়তো নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর পদাধিকারী হবেন। কিন্তু মিঠুন স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। শুধু দলের হয়ে প্রচারে অংশ নেবেন মাত্র।
যদিও পরবর্তীকালে রাজ্যে এসে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা বলেছেন মিঠুন। পালটা ছেড়ে কথা বলেনি ঘাসফুল শিবিরও। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করেন, অভিনেতা হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী একজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু বাস্তবে তাঁর মতো বিশ্বাসঘাতক আর নেই।
কুণাল ঘোষ বলেন, এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন বলে ডাকতেন মিঠুন। আর এখন তাঁর মুখে অন্য রকম কথা। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দাবি করার মানে শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষদের কপাল পুড়ল। পালটা কোনো উত্তর অবশ্য দেননি মিঠুন।