বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওড়িশার বালেশ্বরে (Balasore) শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও নবান্নের তরফে আপাতত সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বাংলার বহু মানুষ ওই ট্রেনে ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে মৃতদের মধ্যে এ রাজ্যের অনেকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। পুরো বিষয় তদারকি করতেই আজ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাবেন বলে সূত্রের খবর।
গতকাল ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরের কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) দুর্ঘটনার জেরে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। ক্রমশ্যই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে পরিস্থিতি। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের (ANI) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। এই সংখ্যা গুলো আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
পিটিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট কাজ করছে। উদ্ধারে ১,২০০ জন কর্মী জড়িত রয়েছেন। জোর তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। গতকাল দুর্ঘটনার পরই নবান্নের তরফে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে পাশাপাশি পাঠানো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।
প্রসঙ্গত, বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। একই লাইনে ছিল হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও। লাইনচ্যুত হয়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন করমণ্ডলের ১৫ টি বগি। মুহূর্তে তছনছ হয়ে যায় সব। বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।
একই সাথে এক দুর্ঘটনার কবলে তিনটি ট্রেন। তাই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে গোটা চিত্র। হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস, মালগাড়ি। একইসঙ্গে তিন তিনটি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কথা এ দেশের মানুষ আগে কোনও দিন শুনেছেন কিনা, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নেই কারোরই।