হাওড়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বঙ্গীয় হিন্দু সেনার প্রথম সমাবেশ! উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু সহ একাধিক বিজেপি নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিরাট উদ্যোগ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। আগামীকাল ১১ই জুন রবিবার হাওড়ার (Howrah) কদমতলার কাছে এপিজি মেমোরিয়াল ক্লাব সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে বঙ্গীয় হিন্দু সেনা-র (Bangiya Hindu Sena) প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশ। জানা যাচ্ছে প্রায় কয়েক হাজার রাষ্ট্রবাদী হিন্দুত্ববাদী মানুষ হাজির হবেন এই সমাবেশে।

সংগঠন সূত্রে খবর, মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ, আইনজীবী দেবজিৎ সরকার, তরুণ বিজেপি নেতা তরুনজ্যোতি তেওয়ারি, জীতেন্দ্র তেওয়ারি সহ বঙ্গীয় হিন্দু সেনা সংগঠনের সকল জেলা ও রাজ্যের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিরা। এছাড়া থাকছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ শ্রীমৎ অম্বিকানন্দ মহারাজ। সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শ্রীশুভেন্দু অধিকারী।

এই মঞ্চ থেকে কেবলমাত্র রাষ্ট্রবাদ ও হিন্দুত্ববাদের প্রচার এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গব্যাপী হিন্দুদের ওপর হতে থাকা ক্রমাগত নির্যাতনের বিরুদ্ধে সর্বোপরি সকল মত পরম্পরা নির্বিশেষে সর্বস্তরের হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সমাজের বিশিষ্ট হিন্দুত্ববাদীদেরকে “বীরশ্রেষ্ঠ” সম্মানও দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।

hindu

এর আগে গত বছর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে অম্বিকানন্দ মহারাজ ‘বঙ্গীয় হিন্দু সেনা’ প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন। এদিন তিনি লেখেন, ‘জয় মহামায়া! বাঙালী হিন্দুর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আশু প্রয়োজন সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী এক অরাজনৈতিক হিন্দু সংগঠন। যাদের কাজ সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করে রাজনীতিকে সঠিক তথা হিন্দুত্বের পথে পরিচালিত করা,
আসুন সকলে একসাথে এই কাজে ব্রতী হই।’

বৃহস্পতিবার অম্বিকানন্দ মহারাজের লাইভে উঠে আসে একাধিক বিষয়। ‘বঙ্গীয় হিন্দু সেনা’ প্রতিষ্ঠার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ। এদিন অম্বিকানন্দ বলেন, ‘আরএসএস, বিশ্ব হিন্দুপরিষদের মতো সংগঠন থাকা সত্ত্বেও যোগি আদিত্যনাথকে ‘হিন্দু যুবা বাহিনী’ তৈরি করতে হয়। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে এই সংগঠনের বিরাট অবদান রয়েছে। আর সেই একই লক্ষ্যে বাংলা আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা সিংহবাহিনী থাকা স্বত্বেও বঙ্গীয় হিন্দু সেনা তৈরি করা হয়েছে।’

অম্বিকানন্দ মহারাজ বক্তব্যে ফুটে ওঠে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় ঘটা হিংসার ঘটনা। এই ঘটনার ই্যসুতে রীতিমতো আক্রমণ শানিয়েছেন বজেপির নেতৃত্বের উপর। এই সময় দলীয় কর্মীদের পাশে না দাঁড়ানোয় তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। বঙ্গীয় হিন্দু সেনা নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করলেও, রাজনীতিতে এই সংগঠনের পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল

Sudipto

সম্পর্কিত খবর