বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বহুদিন জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন (Sehgal Hossain)। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে বহুমাস। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বর্তমানে দুজনার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় (Tihar)। তবে জেল পাল্টালে কি হবে, পাল্নিরিয় ‘দাদা-ভাইয়ের’ গভীর সম্পর্ক।
সূত্রের খবর, জেলে সর্বক্ষণ কেষ্টকে চোখে হারাচ্ছেন সেহগল। মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে চাইছেন না। কেষ্টকে সর্বদা ‘দাদা’র হিসাবেই দেখতেন সেহগল। তখন থেকে এখন সময় বদলালেও তিহাড়ে কেষ্টকে প্রয়োজনমতো ওষুধপত্র, খাবারদাবারের কথা নিয়মিত মনে করিয়ে দেন সেহগল। মোটের ওপর যতটা সম্ভব দাদার খেয়াল রাখছেন সেই সেহগলই।
জেল সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার জন্য একটা বেশ কিছুদিন সংশোধনাগারের হাসপাতালে ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। তবে সম্প্রতি ফের পুরোনো সাত নম্বর সেলে ফেরত গিয়েছেন অনুব্রত। যদিও সেহগল আছেন অন্য সেলে। তাহলে দেখা হচ্ছে কিভাবে? আসলে সংশোধনাগারের নিয়ম অনুযায়ী রোজ সকালে বন্দিদের রোল-কলের পরে আনলক করা হয়।
উল্লেখ্য, মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্তরা ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের তখন সেল থেকে বের হওয়ার অনুমতি থাকে। সারাদিন পর সন্ধেয় আবার জেলবন্দিদের ফের রোল-কল করে সেলে পাঠানো হয়। এভাবেই অনেকটা সময় দাদা অনুব্রতর সঙ্গে সময় কাটানো সুযোগ পান সেহগল। সেই সময়ই কেষ্টর যথাসাধ্য খেয়াল রাখেন তার প্রাক্তন দেহরক্ষী।
আবার বন্দিদের মেডিক্যাল চেকআপের সময়েও কিছুক্ষণের জন্য দেখা হয় কেষ্ট-সেহগলের। জেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অনুব্রতর ওষুধ রয়েছে। সেই দাওয়াই খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া, প্রয়োজন মতো ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া থেকে শুরু করে সারা দিনের যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখাশোনাতে হাজির থাকেন সেহগল।
শুধুই কি তাই! জেলের অন্যান্য দাগী কয়েদিরা যাতে কেষ্ট ‘দাদা’ কে বিরক্ত না-করতে পারে সেজন্যও ঢাল হয়ে থাকেন সেহগল। অন্যদিকে বারংবার শরীর খারাপের জেরে একেবারেই খেতে পাচ্ছেন না কেষ্ট। তবুও যতটা রুচি করে খেতে পারেন ‘দাদা’ সেই দিকেও নজর রাখছেন সেহগল।