বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময়ে বিরিয়ানি (Biryani), পোলাও বানাতে পারলেও সঠিকভাবে আটার (Atta flour) রুটি (Roti) বানাতে পারেন না অনেকেই। কখনও তা হয়ে যায় পাঁপড়র মত তো কখনও আবার শক্ত ইঁট। ফলে রুটি বানাতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে পড়ে গৃহকর্তীদের। আবার রুটি বানানোর সময় তা ফুলে উঠলেও খানিকবাদেই পুরোপুরি চুপসে যায়। এক কথায় বলতে গেলে রুটি নিয়ে সমস্যা শেষ নেই।
তবে জানেন কি কিভাবে রুটি রাখবেন ফুলকো? কিভাবেই বা দীর্ঘক্ষণ রুটি থাকবে নরম? সে কথাই জানাবো আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে। সবার আগে মাথায় রাখতে হবে, পাতে রাখুন আটার তৈরি রুটি। ময়দার রুটির শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো না তাই যথাসম্ভব সেটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রথমেই জেনে নিন আটা মাখবেন কিভাবে
রুটি বানানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন ভুসিযুক্ত আটা। কারণ এতে বেশি থাকে ফাইবার। এরপর সেই আটার মধ্যে ছড়িয়ে দিন এক চিমটি নুন। দিয়ে দিন এক চামচ সাদা তেল। এরপর ইসতউষ্ণ গরম জল দিয়ে তা ভালোভাবে মেখে ফেলুন। বলে রাখি, রুটি মাখার ক্ষেত্রে গরম জল ব্যবহার করলে রুটি হবে নরম এবং হজমেও সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় কথা এই রুটির স্বাদ হবে আলাদা।
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আটা মাখার সময় তা খুব শক্ত করে মাখা যাবে না আবার নরম করেও মাখা যাবে না। যদি দেখেন আপনার আঙুলে আটা লাগছে না তাহলেই বুঝবেন আটা মাখা ভালো হয়েছে। এরপর মেখে নেওয়া আটা ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। লেচি কাটবেন ছোট ছোট করে।
রুটি বানানোর সময় মানবেন কোন নিয়ম
আগে থেকেই তাওয়া গরম করে নিন। এরপর ভালো করে সেঁকে নিন রুটি। এরপর ইসতউষ্ণ গরম জলে রুটি গুলিকে ভিজিয়ে তুলে নিন। মাথায় রাখবেন রুটি যেন খুব বেশি ভিজে না যায়। এরপর একটি থালায় সেগুলি ভালো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দিন।
রুটি তৈরিতে ব্যবহার করুন দুধ
আটা মাখার সময় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জল ব্যবহার করুন। এছাড়াও সম্পূর্ণ আটা মাখতে ব্যবহার করুন ইসত উষ্ণ দুধ। ব্যবহার করতে পারেন দই। মাথায় রাখবেন রুটি কখনই দ্বিতীয় বারের জন্য গরম করবে না তাহলে রুটি শক্ত হয়ে যেতে পারে। রুটি সেঁকা হয়ে গেলে তাওয়ায় সামান্য জল দিন। সব সময় রুটি রাখবেন হটপটে। নরম এবং ফুলকো রুটি বানাতে আজই মেনে চলুন এই টিপস গুলি।