বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বিসিসিআইয়ের (BCCI) সভাপতির পথ হারিয়েছেন গত বছর অক্টোবর মাসে। তার জায়গায় বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় পেসার রজার বিনি। সেই সময় ব্যাপারটি নিয়ে ভালোই জল ঘোলা হয়েছিল। কিন্তু সৌরভ সেই সময় কোন রকম বিতর্ক সৃষ্টি করেননি। অনেকে চেষ্টা করো সৌরভের মুখ থেকে কোন বিতর্কিত মন্তব্য বার করতে পারেননি। তাকে ছেঁটে ফেলা হলো অথচ জয় শাহ একই সময়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েও পদে রয়ে গেলেন এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক মহারাজ ভক্তদেরই অসন্তুষ্টি দেখা গিয়েছিল।
অবশ্য সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর আরও যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একসঙ্গে একটি আইপিএল দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট, একটি ব্যাঙ্ক ও একটি রাজ্যের অ্যাম্বাসেডর, ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বের পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপনে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ফলে তিনি বাড়িতে বসে আছেন এমনটা কোনওভাবেই বলা যায় না।
তবে যেভাবে তাকে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল সেই নিয়ে তার মনে কোন আক্ষেপ নেই এমনটা ভাবা বোধহয় ভুল হবে। কোনওদিনও বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনলেও সৌরভের সাম্প্রতিক একটি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বিসিসিআইয়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অতীতকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছেন।
সৌরভকে সম্প্রতি ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব এবং পরবর্তী থেকে অধিনায়ক হতে পারেন সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাবে তিনি বলেছেন যে অজিঙ্কা রাহানেকে ফের টেস্ট সহ অধিনায়কের পদে ফিরিয়ে আনার নীতির সঙ্গে তিনি একমত নন। বিসিসিআই অতীতকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না নিয়ে এগোচ্ছে এমন ধারণাটাই ফুটে উঠেছে তার বক্তব্যে।
তিনি বলেছেন, “আমি বলব না এটা একধাপ পিছিয়ে যাওয়া। কিন্তু আপনি ১৮ মাস ধরে দলের বাইরে আছেন, তারপর আপনি একটি টেস্ট খেললেন এবং আপনি একজন সহ-অধিনায়ক হয়ে গেলেন, এমন করার পিছনে চিন্তা প্রক্রিয়া বুঝতে পারি না। সেখানে রবীন্দ্র জাদেজা মতো ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরে দলে আছেন এবং টেস্ট ম্যাচে তিনি পুরোপুরি নিয়মিত। আমার মতে তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী ছিলেন এই পদের জন্য।”