বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের টালমাটাল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি (Maharashtra Politics)। ভাঙন ধরল শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপিতে (National Congress Party)। ২০১৯ সালে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের (Devendra Fadnavis) সঙ্গে মিলে সরকার গড়েছিলেন তিনদিনের জন্য। ভোরে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। এরপর সেই সরকারের পতন হয়। তিনি পদত্যাগ করে ফিরে আসেন কাকা শরদ পাওয়ারের কাছে।
বিগত একবছর ধরে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা পদে ছিলেন অজিত পাওয়ার। তবে আজ ফের একবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হলেন তিনি। এনসিপিতে ভাঙন ধরিয়ে প্রায় প্রায় ৪০ বিধায়ক নিয়ে বিজেপি-শিন্ডে জোট সরকারে যোগ দিলেন অজিত। আজ তাঁর সঙ্গে শিন্ডে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন এনসিপির আরও ৮ বিধায়ক।
আজ অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শপথ নেওয়া অন্যতম এনসিপি নেতা হলেন ছগন ভুজবাল। এককালে শিবসেনাতে ছিলেন তিনি। পরে বালাসাহেবের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এনসিপিতে যোগ দেন। এই বর্ষীয়ান নেতা উদ্ধব জমানাতেও মন্ত্রী ছিলেন। এদিকে ছগন ছাড়াও আজ মন্ত্রী হয়েছেন এনসিপির হসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুণ্ডে, দিলীপ ওয়াসলে পাতিল, ধর্মরাও বাবা আতরাম, অদিতিতটকরে, অনিল পাতিল, সঞ্জয় ভোঁসদে।
প্রসঙ্গত, অজিত পাওয়ারের শিবির বদল নিয়ে জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। সেই জল্পনা অবশেষে আজ সত্যি হয়। এনসিপিতে শরদ পাওয়ারের মেয়ে তথা নিজের বোন সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে ক্ষমতা লড়াইয়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছিলেন অজিত পাওয়ারের। এই আবহে সুপ্রিয়া ও প্রফুল্লকে দলের গুরুত্বপূর্ণে পদে বসান শরদ পাওয়ার। তাতে মনক্ষুণ্ণ হন অজিত। সেই সময় শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, অজিত বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা পদে আছে। দলের ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে না। জবাবে অজিত পাওয়ার দাবি করেন, তিনি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা থাকতে চান না। বরং তাঁকে দলের সংগঠনের কোনও পদ দেওয়া হোক।
এই রকম দলীয় টানাপোড়েনের মাঝেই বেশ কিছু দিন ধরেই অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগসাযোগের’ জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এই জল্পনা বরাবরই উড়িয়ে দেন দলের প্রধান শরদ পাওয়ার। তবে আজ তাঁর দল ভেঙে ফের একবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেন অজিত পাওয়ার। সম্প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই মোদি বন্দনা শোনা যায় অজিতের গলায়।