বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভাঙন ধরেছে এনসিপিতে (National Congress Party)। পিঠে ছুরি মেরেছেন ভাইপো অজিত। তবে তাতে তিনি যে মোটেও হতাশ নন তা পরিষ্কার করে দিলেন এনসিপি সর্বাধিনায়ক শরদ পাওয়ার। তিনি জানান, রবিবার মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপি (Bharatiya Janata Party) – শিবসেনা (Shiva Sena) জোটে অজিত যোগ দেওয়ার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা তাঁর কাছে একেবারেই নতুন নয়। আশির দশকেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তবে মানুষের সমর্থনে সেই সংকট কাটিয়ে ওঠেন বলে জানান এনসিপি সুপ্রিমো। সেইসঙ্গে তিনি জানান, বিপদের সময় পাশে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তাঁরা দু’জনেই ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শরদ।
আজ রবিবার বিজেপি জোটে যোগ দিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন অজিত পাওয়ার। তিনি দাবি করেন, এনসিপির যে ৫৪ জন বিধায়ক আছেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ জনই তাঁর সঙ্গে আছেন। যদিও অজিতের দাবিতে সেই পাত্তা দিতে চাননি কাকা শরদ। বরং অজিতকে ব্রাত্য করে দিয়ে শরদ দাবি করেছেন, আজ এনসিপিতে যা হচ্ছে, তা হয়ত অন্য কারও কাছে নতুন কোনও বিষয় হতে পারে। কিন্তু তাঁর কাছে এরকম ঘটনা একেবারেই নতুন নয়।
আশির দশকে ৫৮ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ছ’জন বাদ দিয়ে বাকি সবাই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে ৭৯টি আসনে দল জিতেছিল বলে জানান এনসিপি সুপ্রিমো। তিনি পরিষ্কার জানান, ‘আজ যা হয়েছে, তাতে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই।’
এরই মধ্যে বিজেপি জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অজিত দাবি করেন যে তাঁরা এনসিপির প্রতীকেই লড়াই করবেন। সেই প্রেক্ষিতে শরদ দাবি করেছেন, কেউ যদি এনসিপিকে নিজের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করেন, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, ‘আমরা মানুষের কাছে যাব এবং তাঁদের সমর্থন চাইব। আমি নিশ্চিত যে ওঁরা আমাদের সমর্থন করবেন।’
এনসিপি প্রধান আজ জানিয়ে দেন, উদ্ধব ঠাকুররা শিবসেনার প্রতীকের ক্ষেত্রে যেমন আদালতে লড়াই করেছিলেন, এনসিপির প্রতীক নিয়ে সেই পথে হাঁটবেন না। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে মানুষের কাছে যাবেন। তাঁরাই ঠিক করে দেবেন যে এনসিপি প্রতীকের আসল উত্তারাধিকারী কারা।