বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ পঞ্চায়েত ভোট, শেষ গণনাও, তবে শেষ হচ্ছেনা হিংসা-অশান্তি! মঙ্গলবার রাতেও দফায় দফায় ফের উত্তপ্ত সেই ভাঙড় (Bhangar)। পুলিশ-আইএসএফের বোমাযুদ্ধে প্রাণ গেল তিন আইএসএফ (ISF) কর্মী। গুলি লেগেছে অতিরিক্ত পুলিস সুপারেরও। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় দুপক্ষের অভিযোগ একে- অপরের দিকে।
পুলিশের দাবি তাদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে আইএসএফ কর্মীরা। অন্যদিকে আইএসএফ-র অভিযোগ, গণনার কারচুপি আটকাতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। তার জেরেই তিন আইএসএফ কর্মীর মৃ্ত্যু হয়েছে। ভাঙ্গড় দু-নম্বর ব্লকের দুটি জেলা পরিষদের আসনের ফলাফল ঘোষণা এখনও হয়নি। আর এর মধ্যেই আইএসএফ-পুলিশের বোমাযুদ্ধ।
সূত্রের খবর ঘটনার জেরে পুলিশ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায়। রাবার বুলেট ফায়ার চালায় পুলিশ। তড়িঘড়ি DCRC সেন্টারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতভর চলে পুলিশি টহলদারি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গভীর রাতে পুলিশ রেজাবুল গাজী (২৪) নামের এক আইএসএস কর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করলে পরে তার মৃত্যু হয়। মৃতের বাড়ি পশ্চিম ভোগালীতে বলে জানা গিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে ক্রমশ্যই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জানা যায় কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরেই পুনরায় গণনার দাবি নিয়ে ধর্নায় বসে যান আইএসএফ কর্মীরা। তাদের অভিযোগ অন্যায় ভাবে জেলা পরিষদের একটি আসনে তৃণমূলকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই ক্ষুব্ধ আইএসএফ সমর্থকরা ধর্ণা দেন।