বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে। গণনাও কমপ্লিট। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এখনো অনেক জায়গায় যেখানে তৃণমূল প্রার্থী হেরে গিয়েছে, সেখানে জয়ী প্রার্থীকে শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। বলে দিই যে, বাংলায় সন্ত্রাসের আবহেই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট পূর্ববর্তী, পরবর্তী সন্ত্রাসে এখনো নিহত ৪৯ জন।
যদিও, এখন মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়ছে। তিনি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা।
বাম, বিজেপি, কংগ্রেস এবং ISF আগাগোড়াই দাবি করে আসছে যে, রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা আরও কমত। যদিও, বিরোধীদের এই দাবি মানতে নারাজ শাসক দল। তাদের বক্তব্য, হিংসাকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে এবং মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে।
এবার এরই মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও রাজ্যে বিজেপির জয় নিয়ে ট্যুইট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বাংলায় ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের এই রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস বিজেপিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করা থেকে থামাতে পারেনি। বিজেপি আগের নির্বাচনের তুলনায় তার আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে যা প্রমাণিত আমাদের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘এটি একেবারে জলের মতো স্বচ্ছ যে জনগণের স্নেহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী-এর নেতৃত্বাধীন বিজেপির সাথে রয়েছে এবং লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তারা বিজেপিকে অবশ্যই উচ্চতার শিখরে নিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং সুকান্ত মজুমদার , শ্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং সকল কার্যকর্তাদের অনেক অভিনন্দন যারা দৃঢ়তার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের সাথে অটল ছিলেন।”
পশ্চিমবঙ্গের এই রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস বিজেপিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করা থেকে থামাতে পারেনি। বিজেপি আগের নির্বাচনের তুলনায় তার আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে যা প্রমাণিত আমাদের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে
এটি একেবারে জলের মতো স্বচ্ছ যে জনগণের স্নেহ…
— Amit Shah (@AmitShah) July 14, 2023
উল্লেখ্য, অমিত শাহ এর আগে ২০২৪ এর লোকসভায় নির্বাচনের জন্য বাংলা থেকে আরও বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বাংলা থেকে ৩৬টি আসন পাওয়ার টার্গেট রেখেছেন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির এই অভূতপূর্ব সাফল্যের ঠিক কতটা প্রভাব লোকসভা নির্বাচনে পড়ে।