বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ হয়েছে ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রত্যাশিত ভাবেই বিপুল পরিমানে জয় ফের ফের গ্রাম বাংলা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। অন্যদিকে, বামেরা পূর্বের চেয়ে অনেক ভালো ফল করতে পারলেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি (BJP)। এমনকী উত্তরবঙ্গেও বিজেপির ভরাডুবি। এই আবহেই ভোটে লাগামহীন হিংসার ঘটনা নিয়ে সরব কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ডেডলাইন সুরে সুর মিলিয়ে শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য, ‘আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যেই বাংলায় ওদের (তৃণমূল) সরকার পড়ে যাবে।’ তবে শুধু শান্তনু নয়, এই একই কথা শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মুখেও। এদিন বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মমতা সরকারকে নিয়ে বড় ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন তিনি।
ঠিক কী বললেন নেতা? সুকান্ত বলেন, ‘এই সরকার যে কোনওদিন পড়ে যেতে পারে। পাঁচ-ছয় মাসে পড়তেই পারে। সরকার চলে বিধায়কদের সমর্থনে। এবার হঠাৎ একটা বড় অংশের বিধায়করা যদি মনে করেন তারা এই সরকারকে আর সমর্থন করবেন না তখন সরকার পড়ে যাবে। আবার গণ আন্দোলনের জেরে কয়েকজন বিধায়ক বলতে পারেন আমরা আর বিধায়ক থাকব না। সরকার পড়ার অনেক রকম দিক থাকে।’
অন্যদিকে আজ বঙ্গ বিজেপির হাইভোল্টেজ পর্যালোচনা বৈঠক। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বয়ে গেছে রক্তগঙ্গা। চারিদিকে হিংসা অশান্তির বাতাবরণ। এই নিয়ে রবিবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যে ৩৫৫ ধারার দাবি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশ্লেষণ হবে পঞ্চায়েতে বিজেপির ফলাফল নিয়েও।
সল্টলেকের বিজেপি দফতরেই দলীয় বৈঠকে শীর্ষ নেতৃত্ব। সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন, সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যে নিযুক্ত বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, আশা লাকরা, অমিত মালব্য, মঙ্গল পান্ডে, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এদিনের এই বৈঠকে অংশ নেবেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে জোর চৰ্চা রাজনৈতিক মহলে।