জন্মতারিখ নাকি ৩০ ফেব্রুয়ারি! স্কুল কর্তৃপক্ষের একটি ভুলের কারণে কেরিয়ার শেষ হতে বসেছে পড়ুয়ার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আপনি কি কখনও শুনেছেন যে কারো জন্ম তারিখ ৩০ ফেব্রুয়ারি হতে পারে? শুনতে অদ্ভুত তাই না, কিন্তু এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছে বিহারের (Bihar) একটি স্কুল (Government School)। ঘটনাটি জামুইয়ের একটি সরকারি স্কুলের। এখানে একজন শিক্ষার্থী ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের (Transfer Certificate) জন্য স্কুল প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। শিশুটির টিসিও দিয়েছে স্কুল। কিন্তু চমকপ্রদ বিষয় লুকিয়ে রয়েছে শিশুটির জন্ম তারিখে।

শিশুটির টিসিতে জন্মের ডিটেইলসের জায়গায় স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখেছে জন্ম তারিখ নাকি ৩০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে শিক্ষা দফতর। শুধু তাই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ভুল ঐ শিশুর জীবনেও সমস্যার ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণীর ঐ স্কুল পড়ুয়া এই টিসির কারণে নাকি আর কোন জায়গায় ভর্তি হতে পারছেনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঐ ছাত্রের নাম অমন কুমার। তিনি অষ্টম শ্রেণী পাশ করার পর ঐ স্কুল ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। যে কারণে তিনি বিদ্যালয়ে টিসি দাবি করেন। বিদ্যালয়ের তরফ থেকে টিসি তো দিয়ে দেয় তবে তাতে যে জন্ম তারিখটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি বাস্তবে হতেই পারেনা। সবাই জানে যে ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮ বা ২৯ দিন থাকে।

ছেলের টিসিতে ‘৩০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯’ তারিখ দেখে অমন কুমারের পরিবার খুবই বিরক্ত। ছাত্র অমনের বাবা রাজেশ যাদব জানান, নবম শ্রেণিতে ভর্তির শেষ তারিখ ছিল ১৪ জুলাই। সন্তানের জন্মতারিখের অসঙ্গতির কারণে সে এ বছর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। একথা স্পষ্ট যে, স্কুল কর্তৃপক্ষের একটা ভুল অমনের কেরিয়ারে সমস্যার তৈরী করে দিয়েছে।

এই বিষয়ে রাজেশ যাদব আরও বলেন, আমি আমার ছেলেকে ভর্তি করতে স্থানীয় একটি হাইস্কুলে গেলে প্রিন্সিপাল ভর্তি করতে অস্বীকার করেন। তিনি অস্বীকার করে বলেন, ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে শিশুর জন্ম তারিখ ৩০ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আমাকে টিসি সংশোধন করতে বলেন। তারপর থেকে আমি বারবার চাকাই স্কুলে ঘুরছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

উল্লেখ্য, জেলা শিক্ষা আধিকারিক কপিল দেব তিওয়ারি গোটা ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে এবং টিসি জারি করা চাকাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এখন দেখা যাক অমন কুমারের এই সমস্যার সমাধান হয় কী না!


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর