বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ জুলাই! তৃণমূলের শহিদ দিবস (Trinamool Shahid Diwas)। দিনটির সাথে বর্তমান শাসকদলের বহু আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই দিন বিপুল কর্মী সমাবেশের মধ্যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রথম সারির কিছু নেতা-মন্ত্রী। তবে এবছর চেনা মুখ গুলোর মধ্যে হঠাৎই এক সুন্দরী তরুণীকে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। ঝাঁঝালো বক্তৃতা আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে মঞ্চ কাঁপান তিনি। কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু এখন তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)।
তবে লাইমলাইটে আসার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন রাজন্যা। কেন সকলকে ছাপিয়ে তিনিই সুযোগ পেলেন সেদিন! নেপথ্যের ঘটনা কী? সোনারপুরের মেয়ের রাজন্যার প্রেম জীবন থেকে শুরু করে রাজনীতির বিষয় নিয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন।
হঠাৎ করে নিজের ‘ভাইরাল’ হওয়া প্রসঙ্গে রাজন্যা বলেন,” আমি কখনই জনপ্রিয় হতে চাইনি। কিন্তু এখন মানুষ আমাকে দেখে সেলফি তুলতে ভিড় করছেন কিনা জানি না! তবে সাধারণ মানুষ আমায় দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। সংগঠনের কথা বলছেন। এটা আমার দলের নেত্রীর আদর্শের মতো করেই বিরাট পাওয়া।”
আচমকা এত জনপ্রিয়তার কারণে যদি নিজের দলের একাংশের কাছে গাত্রদাহের কারণ হন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যনা বলেন, “গাত্রদাহ প্রসঙ্গে কাদের কথা বলছেন? আমি মনে করি না এমন হতে পারে দলের অন্দরে। আমার মনে হয় না, আমি বিশ্বাস করি না আমার উত্থানে, আমার সাফল্যে, আমারই দলের অন্যরা কষ্ট পাবেন! শুধু বলব, আমাদের দল একটি পরিবারের মতো। সেখানে ঠোকাঠুকি হতে পারে। কিন্তু আদতে আমরা সবাই এক। সকলেই একই পরিবারের সদস্য। এমন তো আমি সব সময় মনে করি। আমি এটাই বিশ্বাস করি।”
অন্যদিকে রাজন্যার ছবি, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তার জীবনে প্রচুর ক্রাশের আনাগোনা। নেত্রীর মিষ্টি মুখে মুগ্ধ সকলে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কী কেও আছে রাজন্যার? প্রেম? রাজনীতির কারওর সঙ্গেই নাকি গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে রাজন্যা খানিক হেসে বলেন, “প্রেম ছাড়া তো আমরা কেউ-ই থাকি না বলুন!”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা কথার চল আছে থ্রি-পি। পড়াশোনা, প্রেম, পলিটিক্স। প্রেম সবকিছুর সঙ্গে হতে পারে। গান, বই আরও কত কিছু! আমার প্রেম তো আছে, কিন্তু গানের কথায় বলব, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আকাশে…”