বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত (India) হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ। পাশাপাশি, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে চাষাবাদের সাথে। তবে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষিকাজের ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। পাশাপাশি, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফল, ফুল ও সবজি চাষ করার মাধ্যমে বর্তমানে দেশের বহু কৃষক লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষিত যুবকরাও এখন যুগোপযোগী চাষাবাদের প্ৰতি আগ্রহী হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন তিন বন্ধুর কথা বলব, যাঁরা জমি লিজ নিয়ে সবজি চাষ শুরু করে এখন বাম্পার আয় করছেন। শুধু তাই নয়, এখন এই তিন বন্ধু অন্যদেরও কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
জানিয়ে রাখি যে এই তিন বন্ধু হলেন বিহারের পাটনা জেলার বাসিন্দা। তিনজনই পাটনা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিহতায় জমি লিজ নিয়ে সবজি চাষ করছেন। এই কৃষকদের নাম বিনয় রাই, রাজীব রঞ্জন শর্মা এবং রঞ্জিত মিশ্র। এই তিনজন প্রতি বছর সবজি বিক্রি করে ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করছেন। এই প্রসঙ্গে বিনয় রাই জানিয়েছেন, প্রায় ৯ বছর আগে তিনি মুম্বাইয়ের একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল কৃষিকাজ করা। এই কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে ২০১৪ সালে কৃষিকাজ শুরু করেন।
৫০ বিঘা জমিতে শুরু হয় সবজি চাষ: জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক তাঁদেরকে সাহায্য করেন। পাশাপাশি কৃষিকাজকে এখন ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছেন এই তিন বন্ধু। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কৃষিকাজের মাধ্যমে তাঁরা অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দিচ্ছেন।
বিনয় রাই জানান, চার বছর আগে তিনি শাকসবজির চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমে ১০ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি, শসা ও ব্রকোলি চাষ করেন। যেখান থেকে তাঁরা ভালো উপার্জন করতে থাকেন। বর্তমানে তিন বন্ধু মিলে ৫০ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করছেন। পাশাপাশি, তাঁরা বছরে এক কোটি টাকারও বেশি দামের সবজি বিক্রি করেন।
হচ্ছে দুর্দান্ত আয়: এই প্রসঙ্গে বিনয় জানিয়েছেন যে, তাঁদের রাজ্যে কোল্ড স্টোর, পলি হাউস, গ্রিন হাউসের অভাব রয়েছে। এমতাবস্থায়, সরকার ভর্তুকি দিয়ে সেগুলির সংখ্যা বাড়ালে কৃষকদের আয় আরও বাড়বে। অন্যদিকে, বিনয় রাইয়ের বন্ধু ৫৫ বছর বয়সী রঞ্জিত মিশ্র বলেছেন যে, তিনি একটি জমিতে এক বছরের মধ্যে তিনটি ফসল চাষ করেন। তিনি প্রায় ১০ একর জমিতে শসা চাষ করেছেন। এছাড়া তরমুজের চাষও হয়। গত বছর ২৫ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও, বাঁধাকপি, কুমড়ো ও ব্রকোলি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন তাঁরা।