বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (2022 T-20 World Cup) ব্যর্থতা ভুলিয়ে ওডিআই বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) সফল হওয়ার পরিকল্পনা করছে। যেহেতু দেশের মাটিতে আয়োজিত হতে চলেছে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপ তাই প্রত্যাশা চাপও থাকবে বেশ বেশি। কিন্তু ওডিআই বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই তাদের ফির একবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মাটিতে আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
ওপেনিংয়েই চূড়ান্ত সমস্যা:
কিন্তু তার একে ভারতীয় দলের একটি সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই সমস্যাটা হল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রোহিত শর্মা যদি ফের একবার প্রত্যাবর্তন করেন তাহলে তার ওপেনিং পার্টনার কে হবেন? ঈশান কিষাণ ওডিআই ফরম্যাটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও এই ফরম্যাটে ব্যর্থ। যশস্বী জয়সওয়াল টেস্ট ফর্মাটে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটিয়েছিলেন কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এখনো অবধি হতাশ করেছেন।
হিট থেকে রাতারাতি ফ্লপ:
আর কিছুদিন আগেও ভারতীয়দের সবচেয়ে বেশি আশা যে ক্রিকেটারকে নিয়েছিল, সেই শুভমান গিল শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ। ওডিআই ফরম্যাটে যদিও বা তার কথা ভাবা যায়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই ভরসাযোগ্য নয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তার মধ্যে একমাত্র আহমেদাবাদে বর্তমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে খেলা ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করা ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই তার জাতীয় দলের জার্সিতে। শুধুমাত্র ওই স্টেডিয়ামেই যেন নিজের সেরা ছন্দে ব্যাটিং করতে দেখা যায় শুভমান গিলকে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচ সহ বদলে গেল আসন্ন ODI বিশ্বকাপের সূচি! নতুন তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইরে শুভমান গিলের পরিসংখ্যান:
আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে শতরান করেছিলেন গিল। তার ১২৬ রানের ইনিংসটি ছিল দৃষ্টিনন্দন কিছু শটে পরিপূর্ণ। তা বাদে আরো আটটি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেছেন শুভমান নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে। ওই আটটি ইনিংসে কেবলমাত্র দুই বার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পেরেছিলেন তিনি ব্যাট হাতে। সবমিলিয়ে এই আট ইনিংসে তিনি ৯২ রান করেছেন।
আরও পড়ুন: বিরাট বড় ক্ষতি হয়ে গেল কোহলির! বিশ্বকাপের আগে বড় পুরস্কার পেলেন ঈশান কিষাণ
শেষ সুযোগ:
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজই তার কাছে শেষ সুযোগ নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার। এখানেও যদি তিনি ব্যর্থ হন, তাহলে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাকে আর পাওয়া যাবে না। কারণ সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছেন একাধিক তরুণ তারকা।