বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভূত (Ghost) আছে কি নেই সেই নিয়ে বিতর্কটা বহুদিনের। তবে কমবেশি আমরা সবাই ভূতের গল্প শুনতে ভালোবাসি। কিন্তু কলকাতার এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে গেলে আপনি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন ভূত বা অশরীরীদের। না, আমরা এই কথা বলছি না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এই জায়গাগুলিতে ভূতেদের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন। আজ আমরা জেনে নেব কলকাতার এমনই কিছু ভূতুরে জায়গা সম্বন্ধে।
•রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন: কলকাতার অন্যতম এই ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে অনেকে প্রত্যক্ষ করেছেন অশরীরীদের উপস্থিতি। যাত্রী থেকে মেট্রো রেলের কর্মী, অনেকেই এই স্টেশনে হাওয়ার মধ্যে ভেসে থাকতে দেখেছেন এক ছায়া মূর্তিকে। এই স্টেশনের টানেল থেকে প্রায়ই নাকি শুনতে পাওয়া যায় কোনও শিশুর কান্নার শব্দ। এই রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে বহু মানুষ ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাদের আত্মাই নাকি ঘুরে বেড়ায় এই স্টেশনে।
•পুতুল বাড়ি: উত্তর কলকাতার পুতুল বাড়ি কলকাতার অন্যতম হন্টেড জায়গা। শোনা যায় এই বাড়িতে একটা সময় থাকতেন এক বড় ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ী ও তার সঙ্গী সাথীরা বহু মেয়েকে এই বাড়িতে এনে ভোগ করেছেন। তারপর বহু মেয়েকে বাড়ির কর্তা পুঁতে দিয়েছেন মাটির নিচে। সেই সব নির্যাতিতা মেয়েদের আত্মা নাকি আজও ঘুরে বেড়ায় পুতুল বাড়িতে।
•মল্লিক ঘাট ফুল বাজার: হাওড়া ব্রিজের পাশে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফুল বাজার এটি। যারা নিয়মিত মল্লিক ঘাট ফুল মার্কেটে যাতায়াত করেন তারা বলেন ওখানের একটি ঘাট থেকে মাঝেমধ্যেই এক মহিলার কান্নার শব্দ ভেসে আসে। অনেকেই ভোরবেলা ওই জায়গায় গঙ্গার জলে দুটো হাত ভেসে থাকতে দেখেছেন। ওই হাত দুটো নাকি ইশারা করে মানুষদের কাছে ডাকে। সেই ইশারায় সাড়া দিয়ে যারা এগিয়ে যান তারা গঙ্গায় ডুবে মারা যান।
•ন্যাশনাল লাইব্রেরী: কলকাতার ভূতুরে জায়গার তালিকায় অন্যতম একটি নাম ন্যাশনাল লাইব্রেরী। এখানে পড়াশোনা করতে আসা বহু মানুষ তাদের ঘাড়ের কাছে কারোর নিশ্বাস প্রত্যক্ষ করেছেন। আবার অনেকে লাইব্রেরীর তারা বন্ধ বল ডান্সের ফ্লোরে শুনতে পেয়েছেন মানুষের হাঁটাচলা করার শব্দ। অনেকে মনে করেন, লর্ড মেটকাফের স্ত্রীয়ের আত্মা নাকি এখনো ঘোরাফেরা করে লাইব্রেরী জুড়ে।
• গার্টসিন প্লেস: আকাশবাণীর পুরনো অফিস গার্টসিন প্লেসে অনেকেই অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়েছেন। গভীর রাতে অনেকেই এই অফিসে এক সাহেবকে কাজ করতে দেখেছেন। এমনকি চিত্রনায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন তিনি যখন আকাশবাণীতে কাজ করতেন তখন তিনিও এক সাহেবের দেখা পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারেন যে তিনি যেখানে কাজ করছিলেন সেখানে কোনো সাহেব আসেননি। অর্থাৎ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন আকাশবাণীর অফিসে ভূতের উপস্থিতি। এমনকি রাত নামলে এখানকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেসে আসে বাদ্যযন্ত্রের সুর।
•সাউথ পার্ক স্ট্রিট সিমেট্রি: স্যাতসেতে এই কবরস্থানে রাত নামলে অনেকেই এখানে অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়েছেন। অনেকে বলে থাকেন যে এই কবরস্থানে শায়িত থাকা ব্রিটিশ সৈন্যরা রাত্রিবেলা ঘুরে বেড়ান এই জায়গায়। আবার অনেকে দুপুর বেলাতেও এখানে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাr সম্মুখীন হয়েছেন।