মমতা সরকারের মুকুটে নয়া পালক, নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল কন্যাশ্রী প্রকল্প! প্রশংসা বিশ্বজুড়ে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নারী শিক্ষার হার বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুরু করেছিলেন ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’ (Kanyashree Scheme)। গোটা বিশ্বজুড়ে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। এবার আরও একবার নয়া রেকর্ড ঘটিয়ে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্কিম। আগামী ১৪ অগাস্ট ধনধান্য অডিটোরিয়ামে পালিত হবে কন্যাশ্রী দিবস। এবং সেখানেই প্রকল্পের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি বই প্রকাশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কেটে গেছে পুরো ১০ টা বছর। এই দশ বছরে কতটা সফল ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’? ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে এই প্রকল্পে? নবান্ন সূত্রে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরই স্কুলছুটের হার অনেক কমেছে। সর্বশিক্ষা অভিযানের কাজ করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই একটা প্রকল্প।

   

রিপোর্ট অনুযায়ী, এইমুহুর্তে মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের পরিসংখ্যান ১৬.২৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৭৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এদিকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ছুটের পরিসংখ্যান ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.০৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান ১৬.২৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৭৪ শতাংশ হয়েছে। তথ্য বলছে, আগে মেয়ের পড়াশোনার খরচ না চালাতে পেরে বিয়ে দিয়ে দিত পরিবারগুলি। তবে এখন সেই সমস্যা আর নেই।

আরও পড়ুন : পেট্রল গাড়ির পর বৈদ্যুতিক গাড়িতেও Tata-র রমরমা! মারুতি-হুন্ডাইকে হারিয়ে গড়ে ফেলল এই রেকর্ড

নবান্ন আরও বলছে, আগেকার দিনে মেয়েদের শরীরে থাকত অপুষ্টি। অনেক মেয়েই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা যেত। আর সেটাই বদলাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার কোটি লগ্নি করেছে রাজ্য সরকার। গত ১০ বছরে কন্যাশ্রীতে উপকৃত মেয়ের সংখ্যা হয়েছে ৮১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৪৫ জন।

আরও পড়ুন : ৬০০ কোটির বিনিয়োগ, বিপুল কর্মসংস্থান! বাংলায় কারখানা খুলছে এই সংস্থা, বদলে যাবে ভবিষ্যৎ

সাল ২০১৪ তে বিজেপির তরফ থেকেও ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প অতটাও সফলতা পায়নি। উল্লেখ্য, কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রথম দু’টি ভাগের (‌কে–ওয়ান ও কে–টু)‌ রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। এই দুই বিভাগে প্রায় ১৮ লক্ষের বেশি মেয়ে সুবিধা পেয়েছে। এবং কে–থ্রির দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের উপর।

আরও পড়ুন : দাম ৪০ হাজারেরও কম, মোবাইল চার্জার দিয়েই হবে চার্জ! বাজার কাঁপাচ্ছে এই ইলেকট্রিক স্কুটির ফিচার্স

20230813 101957 0000

জানিয়ে দিই, আগে ১৩–১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কে–ওয়ানের অধীনে প্রত্যেক উপভোক্তা পেত ৫০০ টাকা। তবে এখন সেটা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। এবং কে—টু এর অধীনে কোনও ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর এককালীন ২৫ হাজার টাকা সরকারি সাহায্য পেয়ে থাকেন। এরপর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। এবং চালু করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর