বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘প্রেমের টানে’ পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে (India) আসা সীমা হায়দার এবং তার ভারতীয় প্রেমিক শচীন মীনাকে নিয়ে চলছিল তুমুল তর্জা। তার মধ্যেই উঠে এসেছিল অঞ্জুর (Anju) নাম। রাজস্থানের বধূ অঞ্জু এদিকে প্রেমের টানেই উল্টোপথে হেঁটে পৌঁছে গেছেন পাকিস্তান। আলওয়ারের অঞ্জু তার অনলাইন প্রেমিক নাসরুল্লাহর (Nasrullah) সাথে দেখা করার জন্য পৌঁছে গেছেন পাকিস্তানে।
মাঝে খবর মিলেছিল, ধর্ম বদলে তিনি নাকি পাক যুবক নাসরুল্লাকে বিয়েও করে ফেলেছিলেন। এমনকি এক পাক ব্যবসায়ী নাকি তাদের বিয়ের উপহারস্বরূপ একটি ফ্ল্যাট-ও দিয়েছিলেন। তবে এবার নাকি সুর বদলেছেন ভারতীয় বধূ অঞ্জু। এবার তিনি জানালেন ভারতে ফিরতে চান। কারণ তিনি যেমনটা ভেবে গেছিলেন তেমনটা কিছুই ঘটেনি।
কী এমন ঘটল যে এই কয়েকদিনের মধ্যেই মন উঠে গেল তার? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে অঞ্জু জানিয়েছেন, ”আমার মন খুব খারাপ। বাচ্চাদের কথা মনে পড়ছে। আমার জন্যই আমার পরিবারকেও হেনস্তা হতে হচ্ছে।” যদিও অন্যদিকে তিনি বলেছেন পাকিস্তানে তিনি ভালোই আছে। সেখানকার সকলে তার খেয়ালও রাখছেন তিনি। তবে পরিবারের কথা ভেবে সেখানে আর মন বসছেনা তার। আর সেই কারণেই ভারতে ফিরতে চাইছেন অঞ্জু।
আরও পড়ুন : প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি পুরুলিয়ায়, ভারী বৃষ্টির কারণে ধ্বস অযোধ্যায়! আতঙ্কিত স্থানীয়রা
এদিকে অঞ্জুর পরিবারের কথা বললে মেয়ের এহেন কাণ্ডের জন্য চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়েছে অঞ্জুর ভারতে থাকা পরিবার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন ভাই ও স্বামী। এমনকি তার বাবাকে তো রীতিমতো একঘরে হয়ে গিয়েছে। তার জামাকাপড়ের দোকান এখন প্রায় বন্ধের মুখে। এমনকি রাগে-হতাশায় আত্মঘাতী হওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : DA মামলায় জয়! ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
দিন কয়েক আগেই তিনি বলে দিয়েছিলেন যে, “আমাদের কাছে ও মৃত।” অঞ্জুর বিষয়ে আর কোনও খবর নিতেও তিনি আগ্রহী নন। এদিকে তার স্বামীও জানিয়েছেন, তিনি আর অঞ্জুর সাথে সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নন। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সকলের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চান বলে জানিয়েছেন অঞ্জু। এইদিন স্পষ্ট আফশোসের সুর শোনা গেল তার গলায়।
আরও পড়ুন : ইংরেজরাও হতেন মুগ্ধ, ২৫০ বছর আগে এই নামে পরিচিত ছিল দিঘা! ৯৯% মানুষই জানেন না সেই ইতিহাস
অঞ্জু বলেন, ”আমি একটা প্ল্যান করেই এখানে এসেছিলাম। একরকম ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু অন্য রকম হয়ে গেল। তাড়াহুড়োয় আমিও ভুল করে ফেলেছি। আর সেজন্য আমার পরিবারকে হেনস্তা হতে হচ্ছে। এসব আমার জন্যই হচ্ছে। আর তাই আমি খুব কষ্টে আছি। বাচ্চাদের কাছে আমার ভাবমূর্তিই বা কী হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্তও তার ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ ছিল। তবে বিষয়টা যে এতদূর পৌঁছে যাবে সেটা তিনি বুঝতেও পারেনি। তিনি বলেছেন, ”ভারতে ফিরতে চাই। তারপর যেটার সম্মুখীন হতে হবে সেটার মোকাবিলাও করতে চাই।”