বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পৌরসভায় নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জব পোর্টাল, ওয়েব সাইট খুললেই মোটা বেতনে বেসরকারী ব্যাঙ্কে চাকরীর টোপ দিয়ে ঝাঁ চকচকে বিজ্ঞাপনে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে আপনার। কিন্তু এই চাকচিক্যের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে একাধিক প্রতারণা চক্রের ফাঁদ (Recruitment Scam)।
এবার বেসরকারী ব্যাঙ্কে (Private Bank) চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির পর্দাফাঁস করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা দাস নামে এক মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হিন্দমোটর বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কনসালটেন্সি ফার্মের নামে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেন। এরপর বহুজনের থেকে নগদ, ইউপিআইয়ের মাধ্যমে টাকা নিলেও চাকরি কারোর হয় নি।
আরোও পড়ুন : আমজনতার জন্য সুখবর! রেশন কার্ড থাকলেই কেল্লাফতে, এবার মিলবে এই দুটি বিশেষ সুবিধা
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, জগদ্দল, বারাসাতের বেশ কিছু যুবক যুবতী এই প্রতারক প্রিয়াঙ্কার জালে ফেঁসে যান। গৌরব দেবনাথ নামে এক যুবক বলেন, “বহু টাকা আমাদের থেকে নেওয়া হলেও দিনের পর দিন আমাদের প্রতারিত করা হয়েছে। চাকরির ইন্টারভিউ করার নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কটির কলকাতার বিভিন্ন শাখায় ডেকে জব এপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করানো হয়।”
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে ৯% সুদ! দুর্দান্ত অফার দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক, ‘রেকারিং’য়ে টাকা রাখলেই মালামাল
ইতিমধ্যেই, গোটা ঘটনা ইতিমধ্যে জগদ্দল থানা এবং বারাসাত থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারক অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা দাস ও প্রতারণা চক্রের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি এবং টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন গৌরব দেবনাথ সহ প্রতারিত যুবক-যুবতীরা। তবে এই ঘটনা জনসমক্ষে আসার পরেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। শুধু তাই নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিজেপির রাজ্য নেতা প্রণয় রায় বলেন, “বিগত ১২ বছরে এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হোক বা পৌরসভায় নিয়োগ সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রমাণিত সত্য যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা দেখেই কিছু মানুষের ধারণা হয়েছে টাকাপয়সা দিলেই চাকরি পাওয়া যায়। এই ধারণার সুযোগ নিয়ে শাসক দল ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে চাকরি প্রতারণা চক্র গোটা রাজ্যে কাজ করছে।”
এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের প্রতারণা চক্রের খবর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো উচিত না হলে প্রতারকরা আরো বেশি মানুষকে প্রতারণা করার সুযোগ পেয়ে যান। তবে এই ধরনের ঘটনা সামনে এলেই প্রশাসন তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।