বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল ধর্ম। বিহারের (Bihar) মোজাফফরপুর জেলার বাসিন্দা ফারিনা খাতুন। সে গ্রামেরই করণের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভিন ধর্মের হওয়ায় তাদের দুজনের বিয়েতে বাদ সাধে তাদের পরিবার। বাধ্য হয়ে ফারিনা খাতুন করণের কাছে পালিয়ে যায়। প্রেমের জন্য নিজের ধর্ম পরিবর্তনও করেন তিনি। ফারিনা খাতুন থেকে তার নাম হয় খুশবু। সেই নামেই তিনি বিয়ে করেন। এখন সমস্যা হল ফরিনার বাড়ির লোক করণকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে খুশবু পুলিসের দ্বারস্থ হন
প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়েন ফারিনা খাতুন। সেই গ্রামেরই হিন্দু যুবক করণের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ধর্ম পরিবর্তন করে নাম হয় খুশবু বিয়ে করেন করণকেও। এর পর থেকেই খুশবুর পরিবার ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে তাকে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। খুশবুর দাবি তিনি করণকে নিজের মন থেকে ভালোবাসেন। তাই তার অধিকার আছে নিজের জীবন করণের সঙ্গে কাটাবার।
তাদের প্রেমের সম্পর্ক যখন তাদের পরিবার মেনে নিতে চাইনি তখনই ফারিনা সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার। যেহেতু তারা মুসলিম তাই ফরেনার পরিবার প্রথম থেকেই আপত্তি করেন এই সম্পর্কে। এর পরই ফারিনা বাধ্য হন থেকে বেরিয়ে আসতে।
বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা চলে আসেন করণের বাড়ি। ধর্ম পরিবর্তন করেন ফারিনা। নাম নেন খুশবু। এরপর খুশবু নামেই সম্পূর্ণ হিন্দু রীতিতে করণকে তিনি বিয়ে করেন। সমস্য তৈরি হয় এরপর। ফারিনা ওরফে খুশবুর পরিবার থানায় তাদের মেয়েকে নিয়ে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এ খবর যখনই ফারিনার কাছে পৌঁছায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলে যান থানাতে। তারপর আদালতের সামনে তিনি বয়ান দেন তাঁকে অপহরণ করা হয়নি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে বেরিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন : অটোরিক্সায় ঘুরছিলেন মুসলিম বান্ধবীর সঙ্গে! এই ‘অপরাধে’ বেধড়ক মার হিন্দু যুবককে, গ্রেফতার ৬
আদালতে ফারিনা এটাও জানান নিজের ইচ্ছায় তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। এখানে কারোর কোনরকম প্রভাবে এই কাজ তিনি করেনি। ধর্ম পরিবর্তনের পর সম্পূর্ণ হিন্দুর রীতিতেই বিয়ে হয়েছে একটি মন্দিরে। এখন তিনি করণের সঙ্গেই জীবনটা কাটাতে চান। যেতে চান শ্বশুরবাড়িও। কিন্তু এখানেই সমস্যা। তাঁর বাড়ির লোক তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে আদালতের এবং প্রশাসনের কাছে সুরক্ষার দাবী জানিয়েছেন ওই নববিবাহিত দম্পতি।