বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে প্রত্যেকেই চান। এদিকে বর্তমান সময়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় উপলব্ধ হয়েছে। পাশাপাশি অনেকেই নিয়মিতভাবে শেয়ার বাজারে (Share Market) অর্থ বিনিয়োগ করেন। তবে, শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সঠিক কোম্পানি বা শেয়ারে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীকে ধনী হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না।
এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি এখানে বিনিয়োগের কথা ভেবে থাকেন এবং সেক্ষেত্রে যদি ব্যাঙ্কের শেয়ারে প্রাধান্য দিতে চান তাহলে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক (Kotak Mahindra Bank) একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক দেশের ৪ টি বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ব্যাঙ্কের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা সম্প্রতি ৩,০০০ গুণ রিটার্ন পেয়েছেন।
মূলত, আপনি যদি ১৯৮৫ সালে কোটাক মাহিন্দ্রার শেয়ার ১০,০০০ টাকায় কিনতেন, তাহলে ৩৮ বছর পর সেটি থেকে ৩,০০০ গুণ রিটার্ন পেতেন। অর্থাৎ, এই হিসেব অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা ৩০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ সুবিধা পাবেন। যার মাধ্যমে তাঁরা একটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে একটি দামি বাড়ি পর্যন্ত যেকোনো কিছু কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Axis Bank-এর গ্রাহকদের জন্য বড়সড় সুখবর! এবার FD-তে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেল সুদের হার
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক সারা দেশে ১ লক্ষ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি, ওই ব্যাঙ্কের দেশজুড়ে শাখা রয়েছে। এই ব্যাঙ্কটি ১৯৮৫ সালে মাত্র ৩ জন কর্মচারী নিয়ে শুরু হয়েছিল। যা আজ ১ লক্ষ কর্মচারীর ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। এদিকে, ১৯৮৫ সালে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের একটি শেয়ারের দাম ছিল ৬.৮৮ টাকা। অপরদিকে, বর্তমানে এই ব্যাঙ্কের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,৭৬২ টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: আর নেই চিন্তা! গ্রাহকদের জন্য এবার এই পরিষেবা শুরু SBI-এর, অ্যাকাউন্ট থাকলেই মিলবে বড় সুবিধা
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক গত ২৮ বছরে অসাধারণ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত করেছে। যার গড় বার্ষিক রিটার্ন প্রায় ২৮ শতাংশ। এই ব্যাঙ্কের মোট ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। অন্যদিকে, এই ব্যাঙ্কের শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরাও ধনী হচ্ছেন। জানিয়ে রাখি যে, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক একটি ফাইন্যান্স কোম্পানি হিসাবে শুরু হয়েছিল। তবে, ২০০৩ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা এটিকে ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের মর্যাদা পাওয়ার পরে, কোটাক মাহিন্দ্রার ব্যবসায় এবং শেয়ারের দামে দুর্দান্ত বৃদ্ধি ঘটে। পাশাপাশি, এই ব্যাঙ্কটি প্রতি বছর ১২৫ শতাংশ করে সম্পদ বৃদ্ধি করছে।