বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। গত বুধবার জানা গিয়েছিল যে, ভুজিয়া ও মিষ্টি ব্যবসায় দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান “হলদিরাম” (Haldiram’s)-এর শেয়ারের একটি বড় অংশ কিনতে পারে টাটা গ্রুপ (Tata Group)। পাশাপাশি, সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় যে, হলদিরামের অন্তত ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা আসতে পারে টাটা গ্রুপের ইউনিট টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টসের কাছে।
যদিও, এবার জানা গিয়েছে, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস হলদিরাম কেনা থেকে বিরত থাকছে। এদিকে, এই খবর সামনে আসার পরেই টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টসের শেয়ার বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। পাশাপাশি, ইন্ট্রা-ডে-তে এতে প্রায় ৩ শতাংশের পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে, এর আগে গত বুধবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস হলদিরামের অংশীদারিত্ব কিনতে প্রস্তুত, এমন খবর সামনে আসার পরই এই সংস্থার শেয়ারগুলিতে ৪ শতাংশেরও বেশি ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়।
ইতিমধ্যেই, টাটা গ্রুপ তার এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে স্পষ্ট করেছে যে, হলদিরামের সাথে কোনো আলোচনা চলছে না। তারপরেই শেয়ারের পতন ঘটে। বর্তমানে, সংস্থার শেয়ার BSE-তে ২.৪২ শতাংশ হ্রাসের সম্মুখীন হয়ে ৮৫৭.৭০ টাকায় রয়েছে। ইন্ট্রা-ডে-তে এটি ৮৫৩.৮৫ টাকায় নেমে এসেছিল।
আরও পড়ুন: লাগবে না পেট্রোল, ডিজেল! Tata Nano-কে সোলার কার বানিয়ে সবাইকে অবাক করলেন বাঁকুড়ার ব্যক্তি
কি জানা গিয়েছে: গত ৬ সেপ্টেম্বর নিউজ এজেন্সি রয়টার্স জানিয়েছিল যে, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস হলদিরামের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার জন্য আলোচনা করছে। তবে, হলদিরামের ভ্যালুয়েশন নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে আলোচনা আটকে রয়েছে বলেও ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়। টাটা কনজিউমারের কাছে হলদিরামের ১,০০০ কোটি ডলারের মূল্যের বিষয়টি অত্যন্ত ব্যয়বহুল মনে হয়েছে। তবে, এখন উভয় সংস্থাই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: আমেরিকান সংস্থাকে অহঙ্কারের জবাব দিয়ে এবার এই কোম্পানিকে উচিত শিক্ষা দিল TATA! তৈরি হল নয়া রেকর্ড
টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস মূলত একটি চা কোম্পানি। এই সংস্থার কাছে ব্রিটিশ চা কোম্পানি Tetley-র মালিকানা রয়েছে এবং ভারতে Starbucks-এর সাথে অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০২৩-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে টাটা কনজিউমারের আয় বার্ষিক ভিত্তিতে ১২.৪৪ শতাংশ বেড়ে ৩,৭৪১ কোটি টাকা হয়েছে। এদিকে, এই সময়ের মধ্যে, নিট মুনাফা ২২.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩৮ কোটি টাকা হয়েছে এবং অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ১ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে।
অন্যদিকে, হলদিরামের সফর শুরু হয়েছিল ১৯৩৭ সালে একটি ছোট দোকান থেকে। সংস্থাটি তার জনপ্রিয় “ভুজিয়া”-র জন্য বিখ্যাত। যা সমগ্ৰ দেশজুড়েই বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের মতে, ভারতে লবনাক্ত স্ন্যাকস মার্কেটের মূল্য প্রায় ৬২০ কোটি ডলার এবং হলদিরামের এতে প্রায় ১৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। সংস্থাটির স্ন্যাকস দেশের বাইরে সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকাতেও বিক্রি হয়।