বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য প্রদান করা হয়েছে আধার নম্বর। এই আধার নম্বরের মাধ্যমে একজন নাগরিকের সমস্ত তথ্য মজুদ থাকে সরকারের ঘরে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই তথ্য ভান্ডার তৈরি করা হবে রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে। এবার রাজ্য সরকার চাইছে প্রত্যেক পরিবারকে নির্দিষ্ট পরিচিতি (ইউনিক আইডেন্টিটি) প্রদান করতে।
অর্থাৎ আধারের ক্ষেত্রে যেমন ব্যক্তি বিশেষের তথ্য মজুত থাকে সরকারের কাছে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি পরিবারের তথ্য মজুত রাখবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি পরিবারের যাবতীয় খুঁটিনাটি থাকবে। যেমন ওই পরিবারের কোন সদস্য কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান, তাদের পরিচয় ইত্যাদি সংরক্ষিত হবে সরকারের ঘরে।
আরোও পড়ুন : চন্দননগর অবধি ছুটবে মেট্রো! হাওড়া থেকে ডানকুনি হয়ে নয়া রুট শুরুর বন্দোবস্ত রেলের
সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আলাদা করে নথি জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পরিষেবা পাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। এক্ষেত্রে আগে থেকে যদি সরকারের কাছে পরিবার ভিত্তিক তথ্য মজুদ থাকে, তাহলে নাগরিককে পরিষেবা দেওয়া আরও দ্রুত সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রসঙ্গত, ‘কুটুম্ব’ নামে একটি পদ্ধতি চালু রয়েছে কর্নাটকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইছে এই পদ্ধতিকে অনুসরণ করে এ রাজ্যেও পরিবারভিত্তিক তথ্য মজুদ করতে। ‘কুটুম্ব’ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট পরিচিতি-নম্বর (ইউনিক আইডি)। এই নম্বরে ভিক্তিতে সরকারের কাছে মজুদ থাকে সেই পরিবারের যাবতীয় তথ্য।
আরোও পড়ুন : ফ্রিতে নয়! পোষ্য ছাগলের জন্যও রেলের টিকিট কাটলেন মহিলা, মন জয় করে নেবে ভাইরাল ভিডিও
এই পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের অনলাইন বা অফলাইনে জমা দিতে হত তথ্য। তারপর সেই তথ্য যাচাইয়ের পর আবেদনকারীকে পরিষেবা প্রদান করা হত। কিন্তু এই পদ্ধতিতে আগে থেকেই যাবতীয় তথ্য যাচাই হয়ে সরকারের কাছে মজুদ থাকে। ফলে নতুন করে তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়ে না।
সূত্রের খবর, নতুন এই পদ্ধতি চালু করার জন্য মানদন্ড হিসেবে ধরা হবে খাদ্যসাথীকে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এই নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবারের সব সদস্যদের তথ্য সরকারের কাছে থাকবে আগে থেকে। এর ফলে প্রতিনিয়ত যে পরিষেবা প্রাপকের সংখ্যা বাড়ছে সেই অনুযায়ী সরকার আগে থেকে একটা ধারণা করতে পারবে।