বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় রয়েছেন অভিনেতা জিতু কামাল (Jitu Kamal) এবং নবনীতা দাস (Nabanita Das)। টলিউডের (Tollywood) এই পাওয়ার কাপলের বিচ্ছেদের খবরে অবাক হয়েছেন সকলেই। গত ২৯ জুন ফেসবুক পোস্টে প্রথমবার আলাদা হওয়ার খবর সামনে আনেন নবনীতা। আর তারপর থেকেই পেজ থ্রি-র চর্চিত টপিক হয়ে ওঠে এই তারকা দম্পতি।
একদিকে ডিভোর্সের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে তাদের নিজেদের বক্তব্য। জিতুর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাদের বিয়ে সম্পর্ক নিয়ে দেখা যাচ্ছে একাধিক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট। প্রকাশ্যে তার বাচ্চা বৌকে নিয়ে কথা বলতে না চাইলেও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে, তিনি ঠিক কতটা কষ্ট পেয়েছেন। এই যেমন সম্প্রতি আবার একটা ছোট্ট ভিডিও পোস্ট করেছেন নিজের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে।
ছোট্ট এই ভিডিও বার্তাটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি তার বউয়ের বিশ্বাস, ভরসা আর ভালোবাসাকে ভর করে সাফল্যের চূড়ায়। অন্যদিকে আরেক ব্যক্তি সাফল্য থেকে অনেকটা দূরে। সেই ব্যক্তির কাছে না আছে ভালোবাসা, সমর্থন এবং ভরসা। কারণ তাকে ডিভোর্স দিতে চায় তার স্ত্রী। ভক্তদের ধারণা, এই ভিডিওর মাধ্যমে নিজের মনের কথাটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন জিতু।
আরও পড়ুন : বড়সড় ছক্কা হাঁকালেন ‘রাঙা বউ’র কুশবাবু! অভিনেতা গৌরবের মুকুটে এবার নয়া পালক
যদিও এখনও পর্যন্ত একবারও কিন্তু নবনীতার নাম তিনি মুখে আনেননি। বরং একবার তো সোজাসাপটাই বলে দিয়েছিলেন যে, ‘নবনীতা এখনও আমার স্ত্রী, ওর নামে একটাও বাজে কথা বলব না আমি।’ এমনকি নবনীতা যখন প্রথমবার ডিভোর্সের কথা সামনে আনে তখনও তার বক্তব্য ছিল, ‘তোমায় আগেও সামলেছি বাচ্চা বউ, ভবিষ্যতেও সামলাব।’
আরও পড়ুন : সন্তানের জন্ম দিলেন ঋদ্ধিমা, দাদু হলেন সব্যসাচী, গৌরবের ঘরে ছেলে না মেয়ে?
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, জিতুর ‘বাচ্চা বউ’র জীবনে নাকি নতুন মানুষের আগমন ঘটেছে। নতুন বন্ধুর সাথে গোয়াতে ছুটিও কাটিয়ে এসেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়টা এখনই খোলসা করতে চাননা তিনি। তবে নবনীতা আর স্নেহালের বন্ধুত্ব যে কেবলই বন্ধুত্ব নয় সেকথা সকলেই বুঝতে পারছে। জিতু এই বিষয়ে বলেন, ‘একজন পরিণত মানুষ নিজে ঠিক করবেন তিনি কখন কী করবেন। কোনটা করা যায়, সেটা অবশ্যই দেখার ব্যাপার আছে। তবে এই নিয়ে আমার কিছু ভাবনা নেই।’ আবার নবনীতা জানান, স্নেহাল কেবলই ভালো বন্ধু মাত্র।