বাংলাহান্ট ডেস্ক : ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষায় প্রতিবছরের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী বসেন। কিন্তু দেশের অন্যতম কঠিন এই পরীক্ষায় খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। তবে অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে রাজস্থানের (Rajasthan) রামলাল ভোই পাঁচ বারের চেষ্টায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হলে নিট পরীক্ষায়।
রামলালের ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার। জীবনে এসেছে হাজার প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সে সব প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন রামলাল। ২০২২ এর নিট পরীক্ষায় পঞ্চম বারের জন্য তিনি পরীক্ষায় বসেন। এই পরীক্ষাতে সাফল্য আসে তার।
আরোও পড়ুন : রাত পোহালেই খুশীর খবর! মৎস্যপ্রেমীদের পাতে পড়বে পদ্মার ইলিশ, কততে বিকোবে রূপালী শস্য?
রামলাল তার পরিবার থেকে প্রথম চিকিৎসক হতে চলেছেন। তার জীবন সংগ্রামের কাহিনী হার মানাবে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকেও। রামলাল রাজস্থানের চিতৌরগড়ের ঘোসুন্ডা এলাকার বাসিন্দা। সে ও তার স্ত্রী থাকেন যৌথ পরিবারে। বিয়ের ৯ বছর পর তাদের একটি সন্তানও হয়েছে। রামরালের এই সাফল্যে এখন মুখে হাসি ফুটেছে রাজস্থানের এই দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মুখে।
আরোও পড়ুন : সতর্ক হন! অতিভারী বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলার ১০ জেলা, কবে থেকে বদলাবে আবহাওয়া?
রামলালের বয়স যখন মাত্র ১১, তখন পরিবারের তরফ থেকে জোর করে তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন রামলাল। সেই বিয়েতে অমত থাকলেও কিছু করার ছিল না রামলালের। সংসারের দারিদ্র, কিশোর বয়সে বিয়ে, এসব কিছু হাজার সমস্যা সৃষ্টি করেছিল রামরালের জীবনে। কিন্তু রামলাল প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন তিনি হার মানবেন না।
রামলালের এই স্বপ্ন পূরণ করতে তার পরিবার কিন্তু পাশে দাঁড়ায়নি। বাবা-মার বদলে রামরালের বউ তাকে সাহায্য করেছিলেন সব থেকে বেশি। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য রামলাল ট্রেনিং সেন্টারে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর হাজার বাধাকে দূরে সরিয়ে সাফল্য আসে রামলালের কাছে।