বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এমনটা বলা যায়। বছরের শুরুতে ওডিআই ফরম্যাটে তারা খুব একটা ভালো ছন্দে ছিল না। বাংলাদেশের কাছে বাংলাদেশের মাটিতে ওডিআই সিরিজ হারের পর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওডিআই সিরিজ খুঁইয়েছিলেন রোহিত শর্মারা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও তাদের যথেষ্ট বিপত্তির মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল অথচ ক্যারিবিয়ানরা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে পরপর এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জিতে তারা ভক্তদের বিশ্বকাপ জয়ের আশা দেখাতে শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক অতীতের বেশ কিছু ভারতীয় তারকা এত ভালো পারফরম্যান্স করেছে জাতীয় দলের হয়ে যে বিশ্বকাপের জন্য প্রথম একাদশ বাছতে গিয়ে রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মাকে বেশ কিছুটা চিন্তার মুখোমুখি হতে হবে। এই প্রতিবেদনে আমরা দেখে নেব এমন তিন তারকার কথা যাদের সম্পর্কে কোন আশা ছিল না দুই তিন মাস আগেও। কিন্তু এখন এরাই ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন।
◆ লোকেশ রাহুল: একসময় বিশ্বকাপের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল। অনেকে চাইছিলেন তিনি সুস্থ হলেও তাকে যেন সুযোগ না দেওয়া হয় কারণ তিনি চোট পাওয়ার আগে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না জাতীয় দলের জার্সিতে। কিন্তু ভারতীয় দলে ফিরে তিনি সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছেন নিজের ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাধারণ শতরান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের পরপর দুটি অর্ধশতরান করে নিন্দুকদের জবাব দিয়েছেন তিনি। তবে কিপিং নিয়ে এখনো কিছুটা পরিশ্রম করতে হবে তাকে।
◆ ঈশান কিষাণ: চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। অথচ গত বছরের একদম শেষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসাধারণ দ্বিশতরান করেছিলেন তিনি এই ফরম্যাটে। এরপর এশিয়া কাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এই ফরম্যাটে বাকি ভারতীয় ব্যাটাররা যেখানে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন সেখানে ঈশান ছিলেন প্রতি ম্যাচে ভারতের স্টার পারফর্মার। এশিয়া কাপে তাকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানো হয় এবং সেখানেও তিনি সফল। কিপিংয়ে লোকেশ রাহুলের চেয়ে অনেক বেশি ত্রুটিমুক্ত। আশা করা হচ্ছে যে বিশ্বকাপের দলে তিনি নিশ্চিতভাবেই জায়গা পাবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে এই ভারতীয় তারকার সাথে বড় অন্যায় করলো BCCI! হাত থেকে ফসকে গেল বড় সুযোগ
◆ মহম্মদ শামি: তিনি বিশ্রামে থাকার সময় মহম্মদ সিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করেন। এরপর বুমরার প্রত্যাবর্তন এবং সিরাজের দুর্দান্ত ফর্মের কারণে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয় এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে এবং চলতি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে অসাধারণ বোলিং করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাকে অবজ্ঞা করাটা বোকামি হবে। নতুন বল হাতে, মাঝের ওভারগুলিতে, এমনকি ডেথ ওভারেও তিনি উইকেট তুলছেন এবং রান আটকে রাখছেন। অনেকেই দাবি করছেন স্বাদুল ঠাকুরের মত অলরাউন্ডার কি খেলানোর বদলে এবার শামি, সিরাজ ও বুমরাকে দিয়েই ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ সাজানো উচিত বিশ্বকাপে।