বাংলা হান্ট ডেস্ক : বয়সের নিরিখে ৭০ ছুঁইছুঁই হলেও আবেদনের নিরিখে এখনও চিরসবুজ তিনি। তিনি হলেন রেখা (Rekha)। তার কর্মজীবন চূড়ান্ত সফল হলেও ব্যক্তিজীবনে রয়েছে না পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। আর তা অবশ্যই অমিতাভ বচ্চনকে (Amitabh Bachchan) ঘিরেই। বলিউডের এই চর্চিত জুটিকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। অমিতাভ এবং জয়া (Jaya Bachchan) বরাবর অস্বস্তিকর প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেও রেখা আকারে ইঙ্গিতে বহুবার বুঝিয়েছেন যে তিনি বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।
এই যেমন, সাল ২০০৪ এ রেখা এসেছিলেন সিমি গারেওয়ালের টক শো রেন্ডেজভাস-এ। এই টক শো-তে এমন কিছু কথা তিনি বলেন যা শুনে কার্যত হতবাক ছিল গোটা দেশবাসীই। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী সেখানে বেশ লম্বা একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। যেখানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি সত্যিই অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন কি না? বিষয়টা অকপটে স্বীকার করে রেখা বলেন, ‘অবশ্যই’।
রেখার কথায়, এই প্রশ্নটাই বোকা বোকা। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এখনও এমন একজন পুরুষ, মহিলা, শিশুর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি যে সাহায্য করতে পারে এবিষয়ে আমায়। কিন্তু, সম্পূর্ণভাবে আবেগে, উন্মাদনায়, মরিয়া হয়ে, কোনও আশাহীনভাবে তার প্রেমে পড়ে যাই। তাহলে কেন আমাকে আলাদা করা হবে সবকিছু থেকে? আমি কি অস্বীকার করব গোটা বিষয়টা? আমি কি তার প্রেমে পড়িনি? অবশ্যই আমি পড়েছি। গোটা দুনিয়ার প্রেম আমি সেই ব্যক্তির জন্য অনুভব করি।’
আরও পড়ুন : চয়ন নয়, ‘নিম ফুলের মধু’র রুচিরা মজেছেন অন্য পুরুষে! ফাঁস হল পরিচয়
তবে দুনিয়া যেটা বলে যে, ‘রেখা অমিতাভর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন’__এই কথা তিনি স্বীকার করতে নারাজ। অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রেমে পড়লেও বাস্তবে তার সঙ্গে কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। এটা সত্য। কখনওই না। বিতর্ক ও জল্পনা-কল্পনার কোনও সত্যতাই ছিল না।’ এমনকি ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিলসিলা’র পর আর কখনও একসাথে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে কিছুদিন আগেই সমীরা রেড্ডি একসাথে তাদের ছবি পোস্ট করতেই সংবাদ শিরোনামে এসেছেন রেখা ও অমিতাভ।
আরও পড়ুন : স্টার জলসার মহালয়ায় রয়েছে বিশেষ চমক, কোয়েলের পাশাপাশি রয়েছেন তৃণা-সন্দীপ্তাও
এইদিন সমীরা তার পোস্টে লেখেন, ‘যখন আমার বাচ্চারা রেখাজির সঙ্গে দেখা করেছিল। এই মুহূর্তটি আমার ফোনে আজও ধরা রয়েছে। এবং আমার স্পষ্ট মনে আছে যে নায়রা সেদিন খুব অন্যমনষ্ক ছিল। আমি খুব বিরক্ত ছিলাম এবং এটি অবিশ্বাস্য যে রেখাজি কীভাবে তাকে শান্ত করতে সময় নিয়েছিলেন। এবং অবশ্যই হ্যান্সও মিস্টি আলিঙ্গন করেছিলেন রেখাজিকে। তারা যখন বড় হয়ে ওঠেন, তখন তাদের দেখানোর জন্য একটি সুন্দর স্মৃতি এটি। যা সারাজীবন আমার কাছে থেকে যাবে।’