বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার প্রধান মাধ্যম ছিল জলপথ। জলপথে করে জাহাজের মাধ্যমে পৌঁছতে হত অন্য দেশে। কিন্তু সময়ের সাথে বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে ততই আবিষ্কার হয়েছে নিত্য নতুন যানবাহন। বর্তমানে এরোপ্লেনে করে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়।
তবে দুটি দেশের দূরত্বের ওপর নির্ভর করে এই বিমান যাত্রার সময়। বিমানে করে ভারত থেকে আমেরিকার যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘন্টারও বেশি। কিন্তু আজ আমরা আলোচনা করব বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্রতম বিমানযাত্রা সম্পর্কে। আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই বিমান যাত্রার সময় মাত্র ৫৩ সেকেন্ড।
আরোও পড়ুন : ১৯১২ জন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ! পুজোর আগেই এই জেলাবাসীর জন্য দুর্দান্ত খবর
অর্থাৎ এক মিনিটেরও কম সময় লাগে বিমানে করে গন্তব্যে পৌঁছতে। তবে এই ৫৩ সেকেন্ডের বিমান যাত্রার খরচ শুনলে মাথায় হাত পড়বে আপনার। মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের এই বিমানযাত্রায় যা খরচ তা দিয়ে আপনি ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অনায়াসে চলে যেতে পারেন। বলা ভালো, প্লেনে ওটার সাথে সাথেই নেমে যাবেন।
আরোও পড়ুন : আমজনতার মুখে হাসি! পশ্চিমবঙ্গে জ্বালানির দামে পতন; জানুন, পেট্রোল-ডিজেল কিনতে খরচ কত
আরো একটি অবাক করে দেওয়া কথা হল, এখানকার মানুষদের এই বিমান যাত্রা ছাড়া আর অন্য কোনো পরিবহনের মাধ্যম নেই। স্কটল্যান্ডের দুটি দ্বীপের মধ্যে এই বিমান চলাফেরা করে। ওয়েস্ট্রে এবং পাপা ওয়েস্ট্রে দ্বীপের মধ্যে এই বিমান যাত্রার সময় লাগে মাত্র ৫৩ সেকেন্ড। ৫৩ সেকেন্ডে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে বিমান খরচ লাগে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩৮৭ টাকা।
এই দুটি দ্বীপের মধ্যে নেই কোনো সেতু। এছাড়াও এখানকার সমুদ্র পাথুরে বলে চালানো যায় না জলযান। তাই এই দুই দ্বীপের মানুষের পরিবহনের মাধ্যম হল ৫৩ সেকেন্ডের এই বিমান যাত্রা। লোগান এয়ার নামে একটি কোম্পানি এই রুটে গত ৫০ বছর ধরে বিমান পরিষেবা দিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে, বেশ আকর্ষণীয় এই বিমানযাত্রা।