বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, শীঘ্রই ট্র্যাকে চলতে প্রস্তুত দেশের প্রথম র্যাপিড রেল (Rapid Rail)। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) গত বৃহস্পতিবারে গাজিয়াবাদের সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ভারতের প্রথম দ্রুত রেল ট্রানজিট RAPIDEX-এর উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই রেলের উদ্বোধন করা ছাড়াও আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
এদিকে, পরিদর্শনের সময়ে, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ আধিকারিকদের সময়মতো সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও, তিনি বিজেপির আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেছেন। আদিত্যনাথ বসুন্ধরা সেক্টর-৮-এ প্রধানমন্ত্রীর জনসভার স্থল এবং সাহিবাবাদে RAPIDEX স্টেশনও পরিদর্শন করেছেন। এমতাবস্থায়, আগামী ২০ অথবা ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী মোদী এটির উদ্বোধন করতে পারেন।
প্রথম ধাপে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাথমিক সেকশন চালু করা হবে: জানিয়ে রাখি যে, প্রথম পর্যায়ে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট করিডোরের ১৭ কিমি দীর্ঘ প্রাথমিক বিভাগ শুরু করা হবে। এই করিডোরের মোট দৈর্ঘ্য ৮২ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৪ কিলোমিটার দিল্লিতে এবং ৬৮ কিলোমিটার রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। মূলত, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন NCR-এ রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেমের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। যা দিল্লি মেট্রোর বিভিন্ন লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এটি একাধিক শহর যেমন আলওয়ার, পানিপথ এবং মিরাটকে দিল্লির সাথে সংযুক্ত করবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে বাংলার এই রুটে চালু হচ্ছে ট্রেন, একদশক পর ছুটল রেল ইঞ্জিন
এদিকে, প্রথম পর্যায়ের পরে, এই প্রকল্পটি দুহাই থেকে মীরাট পর্যন্ত বাড়ানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে কাজ হবে মীরাট সাউথ পর্যন্ত। পাশাপাশি, তৃতীয় ধাপে কাজ শেষ হবে সাহিবাদাবাদ ও দিল্লির মধ্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে, দিল্লি এবং মীরাটের মধ্যে র্যাপিড রেল চলতে দেখা যাবে। যেখানে মাত্র ৫৫ মিনিটে এই সফর শেষ হবে।
১৮০ কিমি গতিতে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে: উল্লেখ্য যে, এই ট্রেনগুলিকে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, ট্রেনগুলি ট্র্যাকে চলবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে। পাশাপাশি, ট্রেনগুলির পরিচালনায় মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই বিভাগের কার্যক্রমে পুরুষ কর্মচারীদের তুলনায় মহিলা কর্মচারীদের অংশগ্রহণ বেশি হবে।
রয়েছে দুর্দান্ত ফিচার্স: এই অত্যাধুনিক ট্রেনের কোচে 2×2 আসন সহ যাত্রীদের দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি, এই ট্রেনগুলিতে ফ্রি ওয়াইফাই, মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট, লাগেজ স্পেস, একটি ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং অন্যান্য সুবিধাও উপলব্ধ থাকবে। স্বয়ংক্রিয় প্লাগ-ইন দরজা ছাড়াও, র্যাপিড রেলে প্রয়োজনের ভিত্তিতে দরজা খোলার জন্য পুশ বোতাম থাকবে। এছাড়াও, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্ল্যাটফর্মে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (PSD) বসানো হবে এবং ট্রেনের দরজা এই PSD-র সাথে সংযুক্ত করা হবে। যার ফলে ট্র্যাকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা সম্পূর্ণভাবে দূর হবে।