বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচার্য চাণক্যকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পন্ডিতদের অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর লেখা চাণক্য নীতি বই আজও সবার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান একটি পুস্তক। চাণক্য তাঁর বইতে এমন কিছু কথা বলে গেছেন যা অনুসরণ করলে একজন ব্যক্তি পৌঁছাতে পারেন তাঁর কাঙ্খিত সাফল্যের চূড়ায়। চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রের বইতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন একটি মানুষের জীবন, আচরণ, কৌশল, অর্থ ইত্যাদি বিষয়ে।
চাণক্য নীতি বলছে কোনও ব্যক্তি যদি জীবনে সাফল্য পেতে চান সেই ব্যক্তির অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত। মানুষের জীবনে এমন কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনা উচিত যেগুলির মাধ্যমে সেই ব্যক্তি তাঁর ভবিষ্যতের বাঁধাগুলিকে সহজেই দূর করতে পারে। চাণক্যর কিছু এমন নীতি সম্পর্কে আজ আলোচনা করা যাক।
আরোও পড়ুন : হঠাৎ বাড়ল কন্ডোমের বিক্রি! পুজো নাকি অন্য কিছু? প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়া তথ্য
• মূর্খঃ যত্র ন পূজ্যন্তে ধন্যম্ যত্র সুসঞ্চিতম্।দাম্পত্যে কালহো নাস্তি তত্র শ্রী স্বয়মগতা।।
এই নীতির মাধ্যমে চাণক্য বোঝাতে চেয়েছেন যে স্থানগুলিতে মূর্খদের সম্মান করা হয় না সেই স্থানগুলি পরিপূর্ণ থাকে শস্য ভান্ডারে। যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয় না সেই পরিবারের স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী বসবাস করেন। তাই এই কথাগুলি মাথায় রেখে সবাইকে নম্র ও ভদ্র হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন চাণক্য। এছাড়াও পরিত্যাগ করতে হবে নির্বোধের মতো আচরণ।
• সর্গেয়েচক্রে দুর্ভিক্ষে চ ভাষ্টকে।অসাধুজনসম্পর্কে পলায়নি স জীবতি।।
এর মাধ্যমে চাণক্য বোঝাতে চেয়েছেন যে ব্যক্তি সময়মতো ঝামেলা বা যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ বা দুষ্ট লোকের সংস্পর্শ থেকে পালাতে পারেন তিনি সাফল্য পান। একমাত্র বেঁচে থাকেন সেই ব্যক্তি। প্রত্যেকটা ব্যক্তির উচিত চিন্তা করে কাজ করা। কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত ধ্বংস করে দিতে পারে গোটা জীবন। চাণক্য তাই সর্বদা সৎসঙ্গের পরামর্শ দিয়েছেন।