বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ব্লক হওয়া ১ কোটি ৬৬ লক্ষ রেশন কার্ডের (Ration Card) হদিশ পেয়েছেন ইডির (ED) তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে নেমে দেড় কোটিরও বেশি রেশন কার্ডের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যেগুলি ব্লক করা। আর এই কার্ডগুলির মাধ্যমেই দুর্নীতি হয়েছিল বলে দাবি।
প্রতিটি কার্ডের জন্য মাসে ৫ কেজি চাল বরাদ্দ ছিল। বছরে সেই চালের (Rice) পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কেজি। অভিযোগ, ২৮ টাকা কিলো দরে ওই চুরির চাল বিক্রি হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, এটাই হয়তো দেশের মধ্যে সবথেকে বড় রেশন দুর্নীতি।
উপর থেকে দেখে মনে হবে, ২৮ টাকা কিলো দরে চাল বিক্রি হয়েছে। তাতে এমনকী! কিন্তু আসলে একজন কার্ড হোল্ডারের বার্ষিক চালের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কিলো। আর ১ কোটি ৬৬ লক্ষ গ্রাহকের এক বছরে চালের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ কোটি ৬০ লক্ষ কিলো। আর এই পরিমাণ চাল যদি ২৮ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়ে থাকে সেই পরিমাণটা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সংখ্যায় যেটা ২৮০০,০০,০০,০০০। এক বছরেই এই পরিমাণ হলে বছরের পর বছর চলা এই দুর্নীতির অঙ্কটা পরিকল্পনা করতে খুব বেশি হিসেব কষতে হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যাগ (CAG) বরাবর খাদ্য দপ্তরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল। কতজনকে খাবার দেওয়া হত কত কার্ড ব্লক করা হয়েছে, কত জন আটা-চাল ইত্যাদি পান সেই সমস্ত তথ্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির পিছনে বনমন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) হস্তক্ষেপ ছাড়া এই বিপুল দুর্নীতি কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ইডি।