বাংলা হান্ট ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) সহ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরালো বিজেপি (BJP)। এখন ভাবছেন যে, পার্থ, কেষ্টো এবং জ্যোতিপ্রিয় তো পুলিশ কাস্টাডিতে। তাদের কিভাবে রাস্তায় নামিয়ে নিয়ে এল ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা? যদিও উত্তর খুব একটা জটিল নয়। কারণ তাদের মুখোশ পরে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি।
এইদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ আয়োজিত একটি সমাবেশে ঘটে গেল এই নাটকীয় ঘটনা। রাজ্যে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে “চোর ধোরো জেল ভরো” শিরোনামে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, একথা তো কারোরই অজানা নয় যে, ইতিমধ্যেই শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা নানা কারণে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
একদিকে রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অন্যদিকে গরুপাচার , নিয়োগ দুর্নীতি ও আরও নানান দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতার। শনিবার এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদেই পদযাত্রার আয়োজন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই ঘটে গেল এই নাটকীয় কাণ্ড।
আরও পড়ুন : ‘দরিদ্রতা বুঝতে বই পড়তে হয়নি’, ফ্রী রেশন ইস্যুতে কংগ্রেসকে সপাটে জবাব মোদীর
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই পদযাত্রার একাধিক ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নকল করে নীল পাড় সাদা শাড়ি পরে এগিয়ে আসছেন এক মহিলা। তার মুখে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ। গায়ের উপর একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘ডাকাতরানী’। তার দুই পাশে রয়েছে আরও দুইজন। যার একজনের মুখে জ্যোতিপ্রিয়র মুখোশ এবং অপর দুজনের মুখে অনুব্রত ও পার্থর মুখোশ।
আরও পড়ুন : OYO বুক করে মস্তি করার দিন শেষ! কাপলদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে নয়া নিয়ম আনল সংস্থা
জ্যোতিপ্রিয়র মুখোশ পরা ব্যক্তিটির গায়ে লেখা রয়েছে ‘আমি খাদ্য চোর’। কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরানো হচ্ছে তাদের। শনিবার দুপুরে আয়োজিত এই পদযাত্রার একদম সামনের সারিতেই ছিলেন মুখোশ পরিহিত এই কয়েকজন বিজেপি কর্মী। মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোড থেকে শুরু করে মেদিনীপুরের রিং রোড পর্যন্ত পরিক্রমা করে এই মিছিল। মিছিল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। একপ্রকার জানিয়েই দেন যে, খুব শীঘ্রই দিদির কাছেও চিঠি আসবে।
আরও পড়ুন : চিনের অর্থনীতিতে বড় ঝটকা! iPhone নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল Apple, লটারি লাগল ভারতের
যদিও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টিকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি। পাশাপাশি শাসকদলের তরফ থেকেও কদর্য ভাবনাচিন্তা বলে আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নাকি মমতা রূপী ঐ বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জেরাপর্ব। এখন দেখা যাক, এই ঘটনার জের কতদূর পৌঁছায়!