বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। বেজে উঠেছে দামামা। শাসকদল, বিরোধী সকলেই নিজ নিজ রণনীতি সাজানোতে ব্যস্ত। এদিকে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। সূত্রের খবর, তার আগেই দেশের আদিবাসীদের (Tribal) জন্য একাধিক আকর্ষণীয় স্কিমের কথা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১৫ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। আর সেখানেই নাকি প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। আর এই পুরো টাকাটাই যাবে আদিবাসীদের উন্নয়নের খাতে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, এই ঘোষণা মূলত আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে হাতে রাখার জন্যই। আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখেই বিজেপির এই পদক্ষেপ।
অন্যদিকে সমালোচকদের একাংশ বলছে, আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক যাতে হাত ছাড়া না হয়ে যায় সেদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরই নজর থাকে। প্রতি বছরই এক এক দল, তাদের নিজেদের মত করে ঘর গোছায়। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসও তাদের রণনীতি শুরু করে দিয়েছে। এসবের মধ্যেই যদি তাদের সত্যিকারের উন্নতির জন্য কোনও দল কাজ করে তাতে ক্ষতি কী?
আরও পড়ুন : iPhone-র দায়িত্ব নেওয়াই কাল হল!উইনস্ট্রনের কোটি কোটি টাকার লোনও শোধ করতে হবে টাটাকে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১৪ নভেম্বর ঝারখণ্ডের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার কর্মসূচি শুরু করবেন। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর বীরসা মুণ্ডার জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ঐদিন বীরসা মুণ্ডার জন্মস্থান উলিহাতুতেও যাবেন তিনি। উল্লেখ্য , নরেন্দ্র মোদী প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি বীরসা মুণ্ডার জন্মস্থানে যাবেন। অনেকেই হয়ত জানেন, ২০২১ সাল থেকে এই দিনটিকে জনতিয়া গৌরব দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন : নিজের বোনেরই প্রেমে পড়ল ভাই! হানিমুনের ছবি সামনে আসতেই রেগে কাঁই নেটজনতা
জানিয়ে রাখি, পিএম পিভিটিজি মিশনের লক্ষ্য হল ভারতের সমস্ত জনগোষ্ঠীর সার্বিক বিকাশকে সুনিশ্চিত করা। এইদিন এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোটা ভারত জুড়ে একাধিক জনজাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যার একটা বড় অংশ আজও বন জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল। তাদের প্রাথমিক চাহিদা অর্থাৎ রাস্তা, টেলিকম, বিদ্যুৎ , বাড়ি, পরিষ্কার পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জীবনধারণের অধিকারকে সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মোট ৯ জন মন্ত্রীকে নিযুক্ত করা হয়েছে এই কাজে।