বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ রেলপথের ওপর ভরসা রেখেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমতাবস্থায় যত দিন এগোচ্ছে তত বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রী সংখ্যা। দূরের সফর হোক কিংবা কাছের কোনো গন্তব্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেলপথের জুড়ি মেলা ভার। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পরিবহণ মাধ্যমগুলির তুলনায় রেলপথে যাতায়াতের খরচ হয় অনেকটাই কম। আর সেই কারণেই ট্রেনে চেপে যাতায়াতকেই বেছে নেন অধিকাংশ জন।
যদিও ট্রেনে সফরকালে সতর্ক থাকতে হয় যাত্রীদের। প্রায়শই শোনা যায় যে, ট্রেনে সফরের সময়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে। এমনকি এই সংক্রান্ত অভিযোগও বারংবার সামনে আসে যাত্রীদের কাছ থেকে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের একটি বিশেষ বিষয়ে সতর্ক করতে চলেছি। আপনি যদি ট্রেনে সফরের সময় কাউকে সাহায্য করার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই সতর্ক হন। নাহলে আপনি কোনো প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন।
মূলত, প্রতারকরা অসহায়তার ভান করে চুরি করা জিনিসপত্র যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। এমন বিষয়ে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। পাশাপাশি এমন চক্রের হদিশও পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এমনই দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে কানপুর জিআরপি।
আরও পড়ুন: ক্যুরিয়ার পাঠাতে গেলেই টান পড়বে পকেটে! লুকিয়ে পোস্ট অফিসে GST বসাল কেন্দ্র, লাফিয়ে বাড়ল খরচ
ওই দু’জন ট্রেনে চুরি করত পাশাপাশি ট্রেনেই চোরাই জিনিসপত্র বিক্রিও করত। ধৃত চোরেদের নাম হল শিবু ও দীপু চৌহান। তাদের চুরি করার পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা তাদের টার্গেট তখন স্থির করত যখন ট্রেনটি স্টেশনের বাইরের দিকে যেত। সেই সময়ে তারা জিনিসপত্র চুরি করে ট্রেনের গতি কমলেই ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যেত।
আরও পড়ুন: পাত্তা পাবেনা চীন, এবার ভারতেই তৈরি হচ্ছে এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ! লাগবে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ কাজে
দারিদ্রের মিথ্যে অজুহাত: এই প্রসঙ্গে জিআরপি সিও সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, ওই চোরেরা দারিদ্রের মিথ্যে অজুহাত দিয়ে ট্রেন বা রেলস্টেশনের কাছে চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করত। তারা কখনও দারিদ্রের মিথ্যে অজুহাত দিত আবার কখনও পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার মিথ্যে অজুহাত তুলে ধরত। চুরি করা iPhone ও স্যামসাং-এর মতো দামি মোবাইল ও সোনার কানের দুল দেখে মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিত এবং ট্রেনে সফর করা যাত্রীরা তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনত।