বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেট হচ্ছে ভারতের মানুষের কাছে একটি আবেগের মতো। ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) ভক্তরা রোহিত, বিরাট কোহলিদের সাফল্যকে নিজেদের সাফল্য মনে করেন। ঠিক একইরকম ভাবে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা তাদের নিজেদের ব্যর্থতার সমান হয়ে ওঠে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup) ফাইনালের হার তাদের কাছে ছিল এমনই একটা মুহূর্ত। সেই ব্যর্থতার জ্বালা এতটাই মারাত্মক ছিল যে বাঁকুড়ার (Bankura) এক ভারতীয় ভক্ত (Indian Fan) তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন।
ভারতীয় দল ফাইনাল হারের পর ১৯ শে নভেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় অঞ্চলে। ভারতীয় দলের অন্ধ ভক্ত রাহুল লোহার সকাল থেকেই অত্যন্ত উত্তেজিত ছিলেন ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে। এমনিতে অন্যের দোকানে কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই লক্ষ্য রেখেছিলেন ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের দিকে।
কিন্তু রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর থেকে ভারতীয় দলের একের পরে উইকেট হারানো এবং রান তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাশ লাবুশানে যখন বিশাল বড় পার্টনার সেফটি গড়ে তোলেন তখন তিনি বুঝে যান যে আর কোনওভাবেই ভারতের পক্ষে বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা সম্ভব হবে না। শেষপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি ফেরেন তিনি এবং গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সেরা ১১-য় নেই কোনও পাকিস্তানি! শামি, কোহলি থাকলেও এই ভারতীয়র সাথে অন্যায় ICC-র
তবে এই পুরো বর্ণনাটি একটি থিওরি। পুলিশ আপাতত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং মৃত্যুর বা আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাত ১১:৩০ টা নাগাদ তারা এই মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তবে এটি খুন হতে পারে এমন কোনও প্রমাণ এখনো অবধি পাওয়া যায়নি। আত্মহত্যার তত্ত্বই আপাতত সবচেয়ে বেশি জোরদার।
আরও পড়ুন: ছোট থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ভক্ত! রোহিতের ভারতের হারে পৈশাচিক উল্লাস বাংলাদেশ ভক্তদের
গতকাল ভারতীয় দল টসে হারার পর অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথমে ব্যাটিং করতে আমন্ত্রণ জানায়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির ব্যাটের ওপর ভর করে ভারত ভালোই এগোচ্ছিল। কিন্তু পিচ পরে এতটাই কঠিন হয়ে যায় যে ২৪০ রানের বেশি তারা স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি। রান তাড়া করতে নেমে তিন উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেললেও ট্র্যাভিস হেডের আগ্রাসী শতরান ও মার্নাশ লাবুশানের ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ভর করে অস্ট্রেলিয়া সাত ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয়।