বাংলাহান্ট ডেস্ক : আলু ছাড়া বাঙালিরা বোধহয় একটা দিনও ভাবতে পারেন না। তবে শুধু বাঙালিরা নয় সারা ভারতবর্ষেই আলু বেশ জনপ্রিয়। আলু ভাজা হোক কিংবা তরকারি, সবকিছুতেই আলুর জুড়ি মেলা ভার। রোজ পাতে আলু রাখলেও আপনাকে যদি এখন প্রশ্ন করা হয় আপনি কত ধরনের আলু দেখেছেন, আপনি অবশ্য লাল, সাদার নামই ভাবনাচিন্তা করে বলতে পারবেন।
কিন্তু কালো আলু আপনি কি কখনো দেখেছেন? নিশ্চয়ই অবাক হয়ে ভাবছেন সেটা আবার হয় নাকি? কিন্তু আপনাদের সকলকে একটাই কথা জানিয়ে রাখি যে, আর কদিন পরেই বাজার ছেড়ে যাবে অতি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কালো আলুতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষি কাজে নানান পরিবর্তন আসার ফলে সবজির রং ও রূপে বহু বদল এসেছে।
আরোও পড়ুন : বিয়ে বাড়ির খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক, ভর্তি হতে হল হাসপাতালে, তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়
জানা গিয়েছে, বিহারের কৃষকরা খুব বেশি করে জোর দিচ্ছেন কালো আলু চাষের ক্ষেত্রে। এই কালো আলু প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই কালো আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন। এছাড়াও, এই আলুতে শর্করার মাত্রা তুলনামূলক কম। ফলে, স্বাস্থ্যপযোগী হওয়ায় এই আলুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
আরোও পড়ুন : নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর? কার নাম ফাঁস হবে? আসল ঘটনা…
সম্প্রতি কালো আলুর বীজ আমেরিকা থেকে প্রথম আমদানি করে কালো আলুর চাষ শুরু করেছেন বিহারের গয়া জেলার কৃষক আশিস কুমার। আশিস কালো আলু চাষের মাধ্যমে সবাইকে তাজ্জব করে দিয়েছেন। তার উদ্যোগে একাধিক জায়গায় এই কালো আলুর চাষ শুরু হয়েছে। কৃষক জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কৃষকরা এই ফসলের বীজ চেয়েছিল।
পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা সেই বীজ পাঠিয়েছি। আগামী দিনে এই কৃষকরাও কালো আলুর চাষ করবেন। তিনি ১৪ কেজি আলুর বীজ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেন। আশিস দাবি, এই পরীক্ষাটি সফল হওয়ায় উৎপন্ন হয়েছে এক হাজারেরও বেশি আলু। বাজারে ২০০-৩০০ টাকা কেজি দরে এই আলু বিক্রির পাশাপাশি কেজি প্রতি পৌঁছে যায় ৫০০ টাকাতেও।