বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলতি সপ্তাহেই গত বুধবার আগুন লাগে (Fire Catch) গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের (Surat Accident) এক কারখানায়। আগুনের লেলিহান শিখার জালে আটকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঐ কারখানা। আর এবার ভষ্মীভূত সেই কারখানা থেকে উদ্ধার হল সাতজনের মৃতদেহ (7 Dead Body)। তবে তাও গোটা নয়, কারও কঙ্কাল তো কারও শরীরের কিছু হাড়গোড় ও দেহাবশেষ।
উদ্ধার হল ৭ জনের দেহাবশেষ
মিডিয়া সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ৭ জনের শরীরের দেহাবশেষ মিলেছে ঐ ধ্বংসস্তূপ থেকে। এর আগে আগুন লাগার পরপরই প্রায় ২৪ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয় পুলিশ ও স্থানীয়দের চেষ্টায়। তারা সকলেই আটকা ছিল অগ্নিদগ্ধ কারখানার মধ্যে। প্রত্যেকেরই শরীরের নানা স্থানে পুড়ে গিয়েছে বলে খবর। আপাতত তারা রয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : বড় ঝটকা চিনে, ভারতে ১৩ হাজার কোটির বেশি বিনিয়োগের প্ল্যান iPhone নির্মাণকারী ফক্সকনের
তারপরেই কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনও আরও বেশকয়েকজন শ্রমিকেরা খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। তারপরেই উদ্ধার হল সাতজন শ্রমিকের দেহাবশেষ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই গোটা দূর্ঘটনার পেছনে কারা রয়েছেন তার সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত এবং আহতের সংখ্যা ঠিক কত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাড়ল মেয়াদ, আরও ৫ বছর মিলবে বিনামূল্যে রেশন! বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা?
তদন্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে সচিন জিআইডিসি শিল্প তালুকে একটি কেমিক্যাল মজুত করার ট্যাঙ্কে প্রথম আগুন লাগে। রাত ২ টোর সময় আচমকা বিষ্ফোরণের আওয়াজে চমকে যায় কর্মচারিরা। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাকি কারখানায়। ঘটনার সময় প্রায় ১০০ জন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন ঐ কারখানায়।
কারখানার মালিক কে?
মিডিয়া সূত্রে খবর, দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী অশ্বিনী দেশাই নামক এক শিল্পপতি ২০১৩ সালে ওই কারখানাটি তৈরি করেছিলেন। মূলত অন্যান্য কোম্পানিকে কেমিক্যাল সরবরাহ করাই এই কোম্পানির কাজ। উল্লেখ্য, ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, ৭২ বছর বয়সী অশ্বিনী দেশাই রয়েছেন ২২৫৯ নম্বরে। আর এবার তার কারখানাতেই লাগলো বিধ্বংসী আগুন।