বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) দামামা। তার আগেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। যদিও প্রবীণ-নবীনদের ঝামেলা আজকের নতুন নয়। তবে সেটা নিয়ে যে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেও মতান্তর তৈরী হবে তা কে জানতো? সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ, কমবেশি সকলেই নিজ নিজ বক্তব্য রেখেছেন এই বিষয়ে। আর এবার তা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)।
উত্তরবঙ্গ সফরে উড়ে যাওয়ার আগেই প্রবীণদের নিয়ে সোজাসাপটা তৃণমূল সাংসদ। জানিয়ে দিলেন, “দলে প্রবীণদের প্রয়োজন। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমাও থাকা দরকার।” গত সোমবার উত্তরবঙ্গে পাড়ি দেওয়ার আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, সব পেশার মতো রাজনীতিতেও একটা বয়ঃসীমা থাকা উচিত।’ যদিও দিনকয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছিল উল্টো সুর।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার উঠে আসে প্রবীণদের কথা। বয়সের উর্দ্ধসীমা প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের নাম করে তা উড়িয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বয়স আবার কী! মনের বয়সটাই আসল কথা!’ তারপরেই এই প্রসঙ্গে বোমা ফাটান কুণাল ঘোষ। কার্যত দলনেত্রীর উল্টো সুর শোনা যায় তার গলায়। তিনি বলেন, ‘পার্টিটা যেন সিপিএম-এ পরিণত না হয়। যে যতক্ষণ না কেউ দেহত্যাগ করবে ততক্ষণ পদত্যাগ করবেনা। রাজনীতি করা মানেই MLA, MP হতে হবে এমনটা নয়।’
আরও পড়ুন : ‘বাংলায় মিড ডে মিলে ৪ হাজার কোটির দুর্নীতি, CBI তদন্ত হলেই…’! সংসদে বিস্ফোরক ধর্মেন্দ্র প্রধান
এরপর এই বিষয়ে একে একে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন সৌগত থেকে মদন মিত্র সকলেই। আর এবার অভিষেক বচ্চন নিজের বক্তব্য পেশ করে সাফ বুঝিয়ে দিলেন যে, নবীনদের জায়গা দিতে হবে। তার কথায়, ‘নবীন-প্রবীণ সবাইকে নিয়েই দল চলবে। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা দলের প্রয়োজন। তবে কাজের জন্য দরকার তরুণদের। যতই হোক, বয়স বাড়লে কাজের ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে।’ তার কথায়, যে কোনও পেশাতেই বয়সের উর্দ্ধসীমা থাকা দরকার। সব পেশাতেই অবসরের বয়ঃসীমা আছে।
আরও পড়ুন : পাক গারদেই হামলা, অজ্ঞাত ব্যক্তির নিশানায় ২৬/১১ হামলায় কুচক্রী, মৃত্যুর মুখে ভারতের শত্রু
সেই সাথে ঠারেঠোরে যুবনেতা বোঝাতে চেয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে তাকে প্রবীণ নেতাদের ‘বাধা’র মুখেও পড়তে হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখলে পতন অবশ্যম্ভাবী। তা সে কংগ্রেস হোক, সিপিএম হোক বা তৃণমূল।’ এখন যুবনেতার এই মন্তব্য কি নেত্রী মমতাকে উদ্দেশ্য করে? তবে কি দলীয় বিভাজনের কথাটাই সত্য? এমনটাই জল্পনা বিরোধী মহলে।