বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও তা পৌঁছে যায় পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য সভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানকে (Mr Derek O ‘Brien) বেনজির আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সেই সাথে একশো দিনের কাজের বকেয়া প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুললেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই (Government Of West Bengal)। নির্মলা সীতারামনের কথায়, সমস্ত গরমিলের পিছনে শাসকদলেরই হাত রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্য সভায় দাঁড়িয়ে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও ’ব্রায়েন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি ভোটে জেতে। তবে আমাদের সঙ্গে লড়াই হলে ভোটে জেতে না। আমরা ভোটে জিতি। তাই সমানে-সমানে তুলনা হওয়া উচিত। আপনারাও জেতেন, আমরাও জিতি।’ সেই সাথে শান্তনু সেন এবং জহর সরকারদের মুখে শোনা যায় একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রাখার কথা।
এই প্রসঙ্গেই মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী। ভণিতা না করে সোজাসুজিই নিশানা করেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে। তার কথায়, ‘ডেরেক বলেছিলেন, সমানে-সমানে তুলনা হয়। আমরা ওদের সঙ্গে লড়াই করে জিততে পারিনি। তবে আমাদের ভোট জয়ের সঙ্গে সত্যিই ওদের ভোট জয়ের তুলনা হয় না। কারণ ওরা ভোটে জিতলে আইন-শৃঙ্খলা শিকেয় ওঠে, খুন, রাহাজানি, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বাড়িতে আগুন ধরানো শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতাসীন দল হিসেবে ফের ভোটে জেতার পরে ঠিক তা-ই হয়েছে।’
আরও পড়ুন : পেঁয়াজের দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, এই দিন থেকে হু হু করে কমবে রেট! স্বস্তিতে আমজনতা
এইদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘যা বলছি, তা আমার কথা নয়। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে, ৬০ শতাংশ ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এফআইআর দায়ের হয়নি। তাই হিংসার ঘটনা সব প্রকাশ্যে আসেনি। তাই আমাদের সঙ্গে তুলনা হয় না। কারণ আপনারা জিতলে আমাদের দলের কর্মী, সাধারণ মানুষ, মহিলাদের জীবন বিপদের মুখে পড়ে।’
আরও পড়ুন : ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড় খবর! রেপো রেট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল RBI, কতটা পড়বে প্রভাব?
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ২০২১-এর ৪ মে খেজুরিতে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের কথাও শোনা যায় অর্থমন্ত্রীর মুখে। উঠে আসে ২১ মে ইন্দাসে বিজেপি কর্মী অরূপ দাসের ঝুলন্ত মৃতদেহের কথা। এবং এই সবক্ষেত্রেই কলকাতা হাইকোর্টের রেফারেন্স টেনে আনেন তিনি। এইসব কথপকথনের মাঝেই চিৎকার করে প্রতিবাদ করেন জহর সরকার এবং তার সতীর্থরা। তাদের প্রশ্ন, ‘মন্ত্রী কি হাই কোর্টের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভাল, সেটাই বোঝাচ্ছেন?’ এবারও আত্মবিশ্বাসের সাথে অর্থমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘‘তুলনা আপনারা টেনেছেন। আমি জবাব দেবই।’’