বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার রক্তাক্ত পাকভূমি। গতকাল পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় (Terror Attack) প্রাণ হারিয়েছে ২৫ জন সেনা। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে টিজেপি। ভয়াবহ এই হামলার পর পাকিস্তান পুরোপুরি হতবাক। এমনকি এই ঘটনার পর নাকি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে পাক সরকার। কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) সাম্প্রতিক হামলায় ২৫ সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে সংস্থার দাবি, ২৫ জন সেনার পাশাপাশি ২৭ জন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে। তবে এই ঘটনার জন্য পাক সরকার যে একেবারেই প্রস্তুত ছিলনা সেকথা পরিষ্কার।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলার সীমান্তবর্তী ডেরা ইসমাইল খান জেলার দারবান থানায় হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি পুলিশ স্টেশন ঢুকিয়ে মর্টার দিয়ে হামলা চালায়। বন্দুকধারীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ২৫ জন পাক সেনার দেহ। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : Aadhaar নিয়ে বড় স্বস্তি দিল UIDAI, বিনামূল্যে আধার আপডেটের মেয়াদ বৃদ্ধি! এল নতুন তারিখ
আফগানিস্তান সংলগ্ন পাকিস্তানের এই এলাকায় জঙ্গি হামলার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত, জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে। ঘটনাপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এই ডেরা ইসমাইল খান শহর মূলত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকা। এই স্থানে আইন কানুন বা সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। দেশের অন্যতম অশান্ত এলাকা এটি।
আরও পড়ুন : মিটল বিবাদ, বাড়বে ভুটান-বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য! চ্যাংড়াবান্ধা প্রকল্পে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
জেনে অবাক হবেন যে, কেবল এই বছরের মধ্যেই এই প্রদেশে ১০৫০টা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এবং উপজাতীয় বিষয়ক সংস্থার রেকর্ড অনুসারে, গত তিন বছরে মোট ১৮২৩ টি সন্ত্রাসী ঘটনায় ৬৯৮ জন নিরাপত্তা কর্মী মারা গেছেন। গত বছর পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের সাতটি এলাকাকে সন্ত্রাসবাদের হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে পেশোয়ার, খাইবার, উত্তর ওয়াজিরিস্তান, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, ডেরা ইসমাইল খান, বাজাউর এবং ট্যাঙ্ক। চলতি বছরের ১০৫০টি সন্ত্রাস হামলার মধ্যে বন্দোবস্তিতে ৪১৯টি, FATA-তে , ৬৩১টি, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ২১০টি, খাইবারে ১৬৯টি, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ১২১টি, ডেরা ইসমাইল খানে ৯৮টি, বাজাউরে ৬২টি, ট্যাঙ্ক এবং পেশোয়ারে ৬১টি হামলা হয়েছে।