বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেলোর কীর্তি! এবার তৃণমূল কাউন্সিলরকে (TMC councilor) হুমকি দেওয়া এবং হেনস্থার অভিযোগ উঠল দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। তাও আবার নাকি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জুলুমবাজি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। জেলায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নানা ভাবে তাকে বিরক্ত করে চলেছেন ওই যুব তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ওই নেতার বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা।
পাপিয়া হালদার নামের ওই কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘২০২০ সালে করোনা পরবর্তী সময় থেকে প্রতীক দে নামে যুব তৃণমূলের ওই নেতা প্রতীক দে ও আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতা দুর্নীতিগ্রস্থ কাজের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের অসাধু কাজের জন্য তাদের শিখণ্ডি হিসাবে তারা আমার নাম ব্যবহার করা শুরু করেন। আমার নাম করে টাকা তোলা,খাসজমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসাধু কাজ চলতে থাকে।’’
তার কথায়,’ হঠাৎ একদিন প্রতীক আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আমি তা প্রত্যাখ্যান করি তবে তারপর থেকেই নানা ভাবে আমাকে বিরক্ত করতে শুরু করেন ওই তৃণমূল নেতা। অপদস্থ করার সীমা ছাড়িয়ে যায়। গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় লোকজন নিয়ে বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে গালাগালি এবং খারাপ ব্যবহার করা।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো করার খাস জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল নেতা কাইজারের বিরুদ্ধে, ক্ষোভে যা করল গ্রামবাসী…
এখানেই শেষ নয়, পাপিয়ার আরও অভিযোগ, তার কাছ থেকে প্ৰতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ভাগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় প্রতীক। তার কাছে সেই ঘটনার প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন কাউন্সিলর। তার কথায় যেখানে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছেন, তখন প্রতীকের মতো নেতারা মহিলাদের অপদস্থ করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আসা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে পালটা ওই যুব নেতা প্রতীকের দাবি,’ কথা দিয়েও কথা রাখেনি পাপিয়া। উনি কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। দামি গাড়ি চড়ছেন, উইক এন্ডে পার্টি করছেন। ওয়ার্ডের কাজে ওনার মন নেই। আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে বলে আমার বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন কাউন্সিলর।’’ অন্যদিকে এই ঘটনায় দলের ভেতরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। একাংশ কাউন্সিলরের পক্ষে তো দলের আরেক অংশ তৃণমূল নেতার পক্ষে। যা নিয়ে তুঙ্গে তরজা।