বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভোজন রসিকদের আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল। কারন বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদের জেরে আশঙ্কা ছিল এবার হয়তো বর্ষায় হেসেলে ঢুকবে না পদ্মার ইলিশ। আশঙ্কা ছিল, এবার পাল্টা হিসেবে হয়তো বাংলাদেশ ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) পাঠানোর বিষয়ে কোপ ফেলবে।

পদ্মার ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানির জন্য চিঠি
ভারতবর্ষ-বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এই দ্বন্দ্বের ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল এবার হয়তো পদ্মার ইলিশ এদেশে আসবে না। কারন, বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে নয় ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে বাংলা ‘ফিশ ইমপোর্স অ্যাসোসিয়েশন’ বাংলাদেশ থেকে পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির জন্য সে দেশের অন্তবর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে চলেছে।
এই বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাস জানিয়েছেন, ‘গত বছর ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে মাত্র ৬০০ থেকে ৮০০ টনের মতো ইলিশ এসেছিল।’
সূত্রের খবর, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ-সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ মার্কিন ডলার। যেখানে, ইলিশ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে পাবদা, ভেটকি, পুঁটি আসে। আর এ দিক থেকে বিপুল পরিমাণে শুঁটকি, লটে, কাঁচকির পাশাপাশি রুই, কাতলা, ম্যাকারেল যায় বাংলাদেশে।
এছাড়াও, ইলিশ রপ্তানি যোগ্যদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষ তালিকা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সে জন্য সরকারের অনুমোদন একান্তই প্রয়োজন। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে ভাবে ফাটল ধরেছে, তাতে এ বছর বেশি সম্ভব ইলিশ আমদানি করাই এখন সমিতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই এই অগ্রিম তৎপরতা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! আর কতদিন চলবে বর্ষণ? আজকের আবহাওয়ার খবর
এই বিষয়ে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক বিজন মাইতি জানাচ্ছেন, এ বছর ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের জেলেরা ২৫০ থেকে ৩০০ মেট্রিক টনের মতো ইলিশ ধরতে পেরেছেন।তাঁর দাবি, ‘এ বছর বর্ষার মরশুম শুরু হতেই নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশ অনেকটাই অনুকূল। তাই জেলেদের জালে একঝাঁক করে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাঁর আশা, চলতি মরশুমে গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি ইলিশ ধরা পড়বে। তবে তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ করতে না-পারলে রাজ্যে ইলিশের উৎপাদন আগের জায়গায় ফেরানো সম্ভব নয়।’